ঘাস চাষে কলারোয়ার নজরুলের দারিদ্র্য জয়
ঘাসের চাষ করে দারিদ্র্য জয় করেছেন কলারোয়ার নজরুল ইসলাম। উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের রামভদ্রপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম এখন স্বাবলম্বী।
নজরুল ইসলাম বিশ্বাস ছিলেন একজন সাধারণ কৃষক। কখনো করতেন দীন মজুরীর কাজ। এরই মাঝে নিজের বাড়ির গবাদিপশুর খাওয়ানোর জন্য অল্প করে কয়েক কাঠা জমিতে উন্নত জাতের ঘাস লাগান। নিজের গবাদি পশুর চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত ঘাস আঁটি বেঁধে কয়েক তাড়ি নিয়ে গয়ড়া বাজারে বিক্রি করতে শুরু করেন। তাড়ি/ আটি প্রতি ১০টাকা বলতেই যখন তখন বিক্রি হয়ে গেলো তার ঘাস। সেই থেকে ঘাস চাষ আর বিক্রির পথচলা শুরু তাঁর। এখন তার এক বিঘা পাঁচ কাঠা জমিতে আছে উন্নত জাতের ঘাস। প্রতিদিন ৫০/৭০ আটি ঘাসের বোঝা সাইকেলের পিছনে করে নিয়ে আসেন গয়ড়া বাজারে। আগের চেয়ে এখন তাঁর আয়ও ভালো। নিজের ভাগ্যের উন্নয়নে কর্মঠ এ ব্যক্তিটি আজ অন্যদের অনুপ্রেরণা হতে চলেছে।
নজরুল ইসলাম জানান, ‘প্রতি বিঘাতে বছরে সার পানি বাবদ খরচ ২০ হাজার টাকার মতো। আর বিক্রি হয় প্রায় ১লাখ বা কম-বেশি।’
তিনি আরো জানান, ‘এক বিঘা জমিতে একবার ঘাস রোপণ করলে এক নাগাড়ে তিন বছর নিয়মিত সার-পানি দিয়ে গেলে কর্তন করা যায়।’
নজরুলের প্রেরণায় এলাকার আরো কয়েকজন বাণিজ্যিকভাবে ঘাসের চাষ শুরু করেছেন। তেমনি আরেকজন হলেন গয়ড়া গ্রামের মৃত রবিউল নায়েবের পুত্র রাজু। তিনি জানান, ‘এক বিঘা ঘাস লাগিয়েছেন, এখন প্রতিদিন গয়ড়া বাজারে ৪০/৫০ আটি ঘাস বিক্রি করেন। প্রতি আটি ঘাস বিক্রি করেন ১০ টাকা দরে।’ তবে ঘাসের চাহিদা এলাকায় আরো অনেক বেশি বলে জানান রাজু। সন্ধ্যার পরে গয়ড়া বাজারে গেলে লক্ষ্য করে যায়, অনেকের হাতে বাজারের প্যাকেটের পাশাপাশি আছে বাড়ির প্রিয় পশুটির জন্য দশ টাকা দামের ঘাসের আঁটি।