আশাশুনি সরকারি কলেজে অনিয়মের তদন্ত অনুষ্ঠিত
আশাশুনি সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনিত অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি তদন্ত টিম তদন্তে আসেন।
আশাশুনি গ্রামের মৃত সাজ্জাদ সরদারের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রহমান গত ২৩/১১/১৭ তাং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সাবেক অধ্যক্ষ ও অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য ও ভুয়া ভাউচার দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে দরখাস্ত করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযোগ তদন্তের জন্য সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজের অধ্যাপক প্রফেসর প্রভাস কুমার বিশ্বাস ও সরকারি সিটি কলেজ যশোর এর সহকারী অধ্যাপক মোঃ সিরাজুল ইসলামকে দায়িত্ব অর্পণ করেন। তদন্তকালে বাদী ও বিবাদীসহ কলেজের অধ্যাপক ও প্রভাষকদের লিখিত জবানবন্দি গ্রহণ করেন। বাদী বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রহমান তদন্তকালে আনিত অভিযোগের পক্ষে কোন প্রকার ডকুমেন্ট/প্রমাণাদি দিতে পারেননি। তবে ৬ জুলাই পর্যন্ত সময় নিয়েছেন। বিবাদী সাবেক অধ্যক্ষ ও অফিসার ইনচার্জ আলহাজ্ব রুহুল আমিন নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ মিথ্যা বলে জানান এবং কলেজের আয়-ব্যয় গভর্নিং বডির অনুমোদন সাপেক্ষে সঠিক ভাবে করা হয়েছে বলে তুলে ধরেন। সাথে সাথে এতেসংক্রান্ত রেজুলেশান ও ডকুমেন্ট কলেজের ফাইল ও খাতাপত্রে সংরক্ষিত আছে বলে তদন্তকারীদের সামনে জানান। তদন্তকারী কর্মকর্তাবৃন্দ জানান, বড়দল ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত ইউপি সচিব খায়রুল ইসলাম সরকারি চাকুরীর পাশাপাশি একই সাথে অত্র কলেজে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন। এছাড়া আশাশুনি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বড়দল কলেঃ স্কুলের এক শিক্ষকসহ ১১ জন শিক্ষক-কর্মচারী কলেজে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে একই সাথে দু’স্থানে কাজ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাদী-বিবাদীসহ অভিযুক্ত নিয়োগপ্রাপ্তদের সাক্ষ্য ও কাগজপত্র নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে অন্যরা তাদের কাগজপত্র ও ডকুমেন্টস দিবেন। তদন্ত কাজ চলছে, বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের পর যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করা হবে বলে তারা জানান।