সিভি তৈরিতে খেয়াল রাখবেন যে ৫ বিষয়
সিভি দেখতে ক্ষুদ্র। কিন্তু চাকরি সন্ধানীদের জন্য এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। সিভি; কারিকুলাম ভিটা। জীবনবৃত্তান্ত বা জীবনের ঘটনাক্রম।
যেভাবেই বলেন, এতে উঠে আসবে আপনার স্বচ্ছ বিবরণ। চোখ বুলিয়েই পুরোপুরি আপনাকে জানা যাবে। চাকুরিদাতার চোখে আপনার সিভি আকর্ষণীয় করতে যে বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখবেন। সেগুলো হল-
সঠিক বানানে সিভি তৈরি করুন:
প্রথম দেখাতেই আপনার সিভিতে যদি একাধিক বানান ভুল দেখা যায়, তাহলে আপনাকে হয়তো সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে প্রথমেই বাদ দেয়া হয়ে যাবে। আপনি বানানের ব্যাপারে সতর্ক নন মানে আপনি আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সতর্ক নন। দরকার হলে অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে বানান ভুল ঠেকান।
গোজামিল বা কমন বাক্য পরিহার করুন:
‘একটি চ্যালেঞ্জিং পজিশনে কাজ করতে চাই, পেশাগতভাবে নিজেকে বিকশিত করতে চাই’ ইত্যাদি বিভিন্ন উদ্দেশ্য বা অতি পরিচিত বুলি দেখা যায় সিভিতে। কোনো প্রতিষ্ঠান প্রথমত চায় আপনি প্রতিষ্ঠানকে কি প্রদান করতে সক্ষম তার প্রমাণ। আপনার দক্ষতা সে প্রতিষ্ঠানে লাভ নিয়ে আসতে হবে তাহলেই আপনার প্রতি তারা আগ্রহ দেখাবে। এ জন্য আপনার ‘যোগাযোগ ক্ষমতা অসাধারণ’ ‘চাপের মধ্যে ভালো কাজ করতে সক্ষম’ ইত্যাদি পরিচিত বুলি ব্যবহার না করে আপনার অতীত কর্মকাণ্ডে কখন তার প্রমাণ দিয়েছেন সেগুলো নিয়ে বলুন।
স্বল্পবাক্যে প্রয়োজনীয় তথ্য দিন:
চাকরি বাগিয়ে নেওয়ার জন্য অনেকেই নিজেকে নিয়ে অতিরঞ্জন করা, নিজের অতীত নিয়ে মিথ্যা বলা ইত্যাদি করে থাকে। কিন্তু এই যুগে আপনাকে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো খুঁজে বের করা খুব কঠিন নয়। আপনার রেফারেন্স পার্সনের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নেওয়া, আপনার ফেসবুক-টুইটার-ব্লগ ঘেটে আপনার বৃত্তান্ত জেনে নেওয়া খুবই সহজ একটি কাজ। আর আপনার সিভি দু-পৃষ্ঠার বেশি দরকার নেই। আপনার চাকরিদাতাদের মহাকাব্য পড়ার সময় নেই। তবে সিভি ছোট রাখতে গিয়ে আপনি যেন প্রয়োজনীয় তথ্য বাদ দিয়ে না দেন!
সাদামাটা ফরম্যাট ব্যবহার করুন:
আপনার সিভিটিকে রংটং দিয়ে সাজানোর দরকার নেই। এর ফন্ট, কাগজ, টেক্সট সাইজ সব সাধারণ রাখুন। সাধারণ জিনিসই অসাধারণ এসব ক্ষেত্রে। পড়ার ক্ষেত্রে যেন কোনো বাধা না আসে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সিভিতে অতিরিক্ত রংঢংয়ের ব্যবহার চাকরিদাতাদের মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে। হতে পারে আপনার সিভি পড়ার কোনো আগ্রহই পাচ্ছে না।
অন্যের অনুসরণ নয়, নতুন করে করুন:
অন্যজনের সিভিতে নিজের নাম বসিয়ে দেওয়া খুব সহজ এবং অনেকেই এটা করে থাকে। আপনার ব্যক্তিগত সিভিতে আপনার জীবন, কর্মকাণ্ড, অর্জনই প্রাধান্য পাবে। অন্যের সিভি নকল করলে সেটা সহজেই ধরা যায়। আপনার সিভিটা যদি এক পৃষ্ঠারও হয় সেটা যেন অরিজিনাল হয়, আপনার কথা ও কাজের কথা বলে সেদিকে খেয়াল করবেন।