সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থের পরিমাণ কমেছে ২৭ শতাংশ
সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে (সুইস ব্যাংক) বাংলাদেশি নাগরিকদের জমানো অর্থের পরিমাণ এক বছরের ব্যবধানে কমেছে ২৭ শতাংশের বেশি।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হিসেবে ২০১৭ সাল শেষে জমার পরিমাণ কমে ৪৮ কোটি ১৩ লাখ সুইস ফ্রাঁতে নেমেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৪ হাজার ৬৮ কোটি টাকা (১ সুইস ফ্রাঁ = ৮৪ দশমিক ৫ টাকা হিসেবে)। আগের বছর ২০১৬ সালে এর পরিমাণ ছিল ৬৬ কোটি ১৯ লাখ সুইস ফ্রাঁ (৫ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা)।
২০১৭ সালে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমানো অর্থের পরিমাণ ছিল ৪০ দশমিক ৭ বিলিয়ন (৪০৭ কোটি) ডলার। আগের বছরে এই অংশ ছিল ৫৫ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার।
২০১৬ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থের পরিমাণ আগের বছরের চেয়ে ২০ শতাংশ বেড়েছিল।
গোপনীয়তার জন্য সারাবিশ্বের ধনীদের সুইস ব্যাংকে অর্থ রাখার প্রবণতা দীর্ঘদিনের। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অফশোর লিকস, পানামা পেপার্স ও প্যারাডাইস পেপার্সে বিশ্বের বিভিন্ন কর স্বর্গে ধনীদের বিপুল বিনিয়োগের তথ্য বেরিয়ে আসে।
বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কর স্বর্গে বিনিয়োগকারী যাদের নাম এসেছে, তাদের বিষয়ে তদন্তের উদ্যোগ নেয়ার কথা দুর্নীতি দমন কমিশন জানালেও তাতে কোনো অগ্রগতি আসেনি।
বাংলাদেশিদের অর্থ কমলেও সুইস ব্যাংকে বিদেশিদের অর্থ এক বছরে ১ দশমিক ৪২ ট্রিলিয়ন ফ্রাঁ থেকে বেড়ে ১ দশমিক ৪৬ ট্রিলিয়ন ফ্রাঁ হয়েছে, যদিও দেশটি বিদেশি অর্থের তথ্যের গোপনীয়তার ক্ষেত্রে অনেক ছাড় দিচ্ছে।
প্রথার বাইরে গিয়ে এখন ভারতসহ বিভিন্ন দেশের কর আদায়কারী সংস্থার সঙ্গে গ্রাহকের তথ্য বিনিময় করছে সুইজারল্যান্ড। তবে গত এক বছরে সুইস ব্যাংকে জমানো ভারতীয়দের অর্থের পরিমাণ ৫০ শতাংশ বেড়েছে।