বল্লীতে মীমাংসার নামে শালীসি সভায় প্রতিপক্ষকে মারপিট: থানায় অভিযোগ
সদরের বল্লী ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামে তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বাসা বাড়িতে জামাতের মহিলা সদস্যদের নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরে বিষয়টি স্থানীয় মেম্বর হাবিবুর রহমান হবি হামলাকারিদের পরামর্শ মত মিমাংশার নামে শালিসী বৈঠক ডাকে। শালীস চলাকালে হামলাকারিরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী জঙ্গী স্টাইলে একই গ্রামের মৃত: রইচউদ্দীন সরদারের পুত্র আতারুল ইসলামের (২৮) উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় হামলার স্বীকার আতারুলের আত্মচিৎকারে স্থানীয় মিজানুর, হান্নান এবং আতারুলের বৃদ্ধ মাতা রিজিয়া বেগম ছুটে এসে হামলাকারিদের হাত থেকে রক্ষা করে স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎকের নিকট নিয়ে সুস্থ্য করেন। ঘটনার প্রতিকার পেতে হামলার স্বীকার আতরুল ইসলাম মৃত আব্দুল মাজেদ শানার ছেলে আলাউদ্দীন(৪৫)সহ ৪ জনকে আসামী করে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আহত আতারুল ইসলাম বলেন, ঐ হামলাকারিরা ১৪ জুন যে ভাবে আমাদের বাসাবাড়িতে হামলা চালিয়ে ত্রাশ সৃষ্টি করেছিল তদ্রুপ গতকাল রাতে আসামীরা হায়নার মত আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমি থানায় অভিযোগ করেছি জানতে পেরে আসামীরা ক্ষীপ্ত হয়ে আমার স্ত্রী শিশু সন্তান নিয়ে পিতার বাড়ি থেকে ফিরার পথে মঙ্গলবার ১২ টার দিকে ভাটপাড়া ভাটার মোড়ে এক নং আসমী ও আমার স্ত্রী-সন্তানকে একা পেয়ে চুল ধরে টেনে হেচড়ে মাটিতে ফেলে। এক পর্যায়ে এক নং আসামী স্ত্রীর কাছে থাকা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে লোকজনের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে আসামীরা স্থান ত্যাগ করে। এ বিষয়ে আসামীদের সাথে এশাধিক বার কথা বলার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে স্থানীয় মেম্বর মোবাইল ফোনে জানান, শুনেছি আতাউরকে মেরেছে। কিন্তু ঐ সময় আমি শালিস থেকে চলে এসেছি।
এ বিষয় সদর থানার এসআই হাসানুজামান জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরণের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে। এলাকাবাসি প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।