দেবহাটার নোড়ারচক ভূমিহীন সংগ্রাম কমিটির প্রতিবাদ সমাবেশ
দেবহাটা প্রতিনিধি :
দেবহাটার পারুলিয়া ইউনিয়নের নোড়ারচক ভূমিহীন সংগ্রাম কমিটির প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকাল ৪টায় নোড়ারচক পাঞ্জাগানা মসজিদ চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য ভূমিহীননেতা মোকারম শেখ, ভূমিহীন সংগ্রাম কমিটির সভাপতি আমজাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইয়াদ আলী মোড়ল, কোষাধ্যক্ষ ফজলুর রহমান, পাঞ্জেগানা মসজিদের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাবেক কোষাধ্যক্ষ ইয়াদ আলী মোড়ল, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পূর্ণবাসন ও কল্যাণ জেলা সোসাইটি ভূমিহীন কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, আব্দুর রশিদ, সদস্য কেনা রাম মণ্ডল প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, গাজী শহিদুল্লাহ ভূমিহীনদের মাঝে গোলযোগ সৃষ্টি করতে উঠে পড়ে লেগেছে। সে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ভূমিহীনদের মধ্যে প্রবেশ করে এক অপরের ভিতরে দাঙ্গা বাধিয়ে দিতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সে ভূমিহীন না হয়েও নিজেকে ভূমিহীন নেতা দাবি করে একেরপর এক চক্রান্তে লিপ্ত হয়ে নোড়ারচক ভূমিহীন পল্লীকে অশান্ত করার পায়তারা চালাচ্ছে। বক্তরা আরো বলেন, আমরা ২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ভূমিহীন সংগ্রাম কমিটির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। যেখানে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি রয়েছে। কিন্তু গাজী শহিদুল্লাহ’র সহযোগী নোড়ারচকের বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতি একাধিক মামলার আসামি আবুল হোসেন, খাদেম আলীর ছেলে আব্দুল মালেক, পাঁচপোতা গ্রামের সালামতুল্লাহ সরদারের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস, আশাশুনির কয়রার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রুহুল আমিন ও একই এলাকার জাহান আলীর ছেলে মুনসুর আলীসহ কয়েকজন রাতের আধারে সাধারণ ভূমিহীনদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করে লাখ লাখ চাঁদা আদায় করছে। এমনকি সাধারণ ভূমিহীন আবুল কালামের ছেলে আয়ুব আলী, সাকা সরদারের ছেলে আবুল কালাম, শাহাদাত হোসেনের ছেলে আব্দুর রব সহ কয়েকজনকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে ভুয়া কমিটি গঠন দেখানো হয়েছে। এছাড়া উক্ত গাজী শহিদুল্লাহ দক্ষিণ পারুলিয়ার ফজলুকে গাঁজা দিয়ে ফাঁসিয়ে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিয়ে তার সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়েছে। ভূমিহীন নুর আলীর আড়াই বিঘা জমি জোরপূর্বক দখল করে সখিপুরের আব্দুল জব্বারের নিকট এক লাখ টাকায় বিক্রয় করেছে। এছাড়া নোড়ারচক ভূমিহীন পল্লীতে গাজী শহিদুল্লাহ’র ৮ বিঘা, আব্দুল মালেকের ১১ বিঘা, আব্দুল কুদ্দুসের ৬ বিঘা, রুহুল আমিনের ৬ বিঘা এবং মুনসুর আলী ৮ বিঘা জমি দখল করে অবৈধ ভাবে ভোগ করছে। তাছাড়া উক্ত শহিদুল্লা’র বিরুদ্ধে ১৯৯৫ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহম্মেদের প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির এমপি প্রার্থী ওজেদ আলীর পক্ষে সরাসরি প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী হিসাবে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয় ২০০৮ সালে আ.ফ.ম রুহুল হক এমপির বিপরীতে বিএনপির কাজী আলাউদ্দীনের পক্ষে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে দেখা যায়। সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনে পারুলিয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল ইসলামকে পরাজিত করতে বিএনপি’র প্রার্থী গোলাম ফারুক বাবুর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা করে। এদিকে, শহিদুল্লাহ গং কর্তৃক পাঞ্জাগানা মসজিদের টাকা আত্নসাত করার অভিযোগ তুলতে মসজিদ কমিটিকে হয়রানী করছে বলেও জানানো হয় সমাবেশে।