রাতেই জমে উঠে মাদকসেবীদের আড্ডা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে ৩৯ দিনের ছুটি। গত ১৬ মে থেকে রমজান, গ্রীষ্মকালীন ও ঈদুল ফিতরের জন্য ক্যাম্পাসে এ ছুটি শুরু হয়েছে। ক্যাম্পাস ছুটি হলেও এখনো হলে আছেন অনেক শিক্ষার্থীই। কেউ টিউশন করছেন কেউবা আবার পরীক্ষার জন্য আছেন।
এই ছুটিকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসের বাধার মুখে পড়েছে নিরাপত্তা। বেড়েছে বহিরাগতদের আনাগোনা। থেমে নেই নির্ভিগ্নে সেবন। সক্রিয় রয়েছে ছিনতাই চক্র। সন্ধ্যা নামলেই বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকসেবীদের আনাগোনা বেড়ে যায়। ক্যাম্পাস হয়ে ওঠে ছিন্তাইকারী ও মাদকসেবীদের আড্ডাস্থল।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের হবিবুর রহমান মাঠ, মাদার বখস হলের পুকুর পাড়, শেখ রাসেল চত্বর, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের মাঝের পুকুর পাড়, জুবেরী মাঠ, চারুকলা প্রাঙ্গণ, বধ্যভূমি এলাকা মাদকসেবনের কেন্দ্রস্থল। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর এসব জায়গায় মাদকের আড্ডা বসে।
এদিকে ফাঁকা ক্যাম্পাসে ছিনতাই, এমনকি ছাত্রী উত্ত্যক্তের মত ঘটনাও বাড়ছে। গত ১৭ মে সন্ধ্যায় প্যারিস রোডে আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রীর ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ছিনতাইয়ে বাধা দিলে একপর্যায়ে তার হাতে ছুরি মেরে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
গত ১৫ মে স্টেশনবাজার এলাকায় ইতিহাস বিভাগের তিন শিক্ষার্থী ছিনতাইয়ের শিকার হয়। পরদিন ১৬ মে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের পেছনে বান্ধবীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করলে মার্কেটিং বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলামকে ছুরিকাঘাত করে গণিত বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. হামজা। এসময় তাকে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়।
ক্যাম্পাসে মাদকসেবীদের আড্ডা, ছাত্রী উত্ত্যক্ত ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় আতঙ্কিত শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিলে মাদকসেবী, ছিনতাইকারী ও দুর্বৃত্তরা ক্যাম্পাসে অবাধে দুষ্কর্ম করার সাহস পেত না।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, আমরা প্রশাসনিকভাবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। পুলিশকে আরো সতর্ক থাকতে বলে দিয়েছি। ছাত্রীদের হলের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন বলে যোগ করেন প্রক্টর।