ঈদকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা শহরের অফিস-দোকানে শুরু হয়েছে হিজড়াদের চাঁদাবাজি
বিশষ প্রতিনিধি: টাকা দে না হলে অপমান করবো কইলাম। আমরা তো বছরে একবারই আসি, টাকা দিবি না কেনে? সাতক্ষীরা পোষ্ট অফিস মোড় এলাকার আরমান কো-অপারেটিভ সোসাইটি মার্কেটে থাকা পত্রিকা অফিস, টেলিটক অফিসে শনিবার বেলা ২টার দিকে বেশ কয়েকজন হিজড়া এভাবেই টাকা চাইলেন। তাদেও হুমকি ও আচরণ দেখে কেউ কোন শব্দ না করেই টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
আরমান কো-অপারেটিভ সোসাইটি মার্কেটের এক দোকানের কর্মচারী কামরুল ইসলাম বলেন, প্রথমে একজন পরে তার পেছনে আরও বেশ কয়েকজন হিজড়া অফিসে ডুকেই টাকা চাইতে শুরু করেন। আমরা কর্মচারী মালিক এখানে নেই বলতেই তারা বলতে শুরু করেন, ‘টাকা না দিলে অপমান করবো কিন্তু।’ বাধ্য হয়েই টাকা দিতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শুধু আমাদের অফিস নয় পাশে থাকা টেলিটক অফিস, ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভান্ডার সব জায়গা থেকে নিয়েছেন। ঈদকে সামনে রেখে শহরের অলিগলি, অফিসপাড়া, দোকানপাট সব জায়গা থেকে নিচ্ছেন। নিরুপায় হয়ে অনেকটা বাধ্য হয়েই সকলকে টাকা দিতে হচ্ছে। আর এভাবেই সাতক্ষীরা শহরের মধ্যে প্রত্যেকটি অফিস ও দোকানগুলোতে চলছে হিজড়াদের চাঁদাবাজি।
এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মারুফ আহম্মেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
তবে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচলক দেবাশীষ সরদার বলেন, সাতক্ষীরা জেলার মধ্যে ৬৮ জন হিজড়া রয়েছে। এদের মধ্যে ৪০ জনকে আমরা ট্রেনিং দিয়ে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিয়েছি। সে সময় তাদের মানুষদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি নিষেধ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এভাবে চাঁদাবাজি বন্ধে নির্দেশনা থাকলেও তারা মানছেন না। পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে জানানো হবে।