কালিগঞ্জের পল্লীতে যৌতুকের দাবীতে গৃহবধুকে নির্যাতন থানায় মামলা
কালিগঞ্জ প্রতিনিধি :
কালিগঞ্জের পল্লীতে যৌতুকের দাবীতে গৃহবধুকে নির্যাতনের অভিযোগে থানায় মামলা, একজনকে আটক করেছে পুলিশ। থানা ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মুকুন্দমধুসূধনপুর গ্রামের মোসলেম মোড়লের পুত্র প্রবাসী মাছুম বিল্লাল ছোটনের সাথে ২০১৪ সালে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক পার্শ্ববর্তী কোমরপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের কন্যা খালেদা আক্তারের (২২)সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর দেড়-বছর তারা সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করছিলো। কিন্তু মাসুম বিল্লাহ বিদেশ যাওয়ার পর থেকে খালেদা আক্তার তার শ্বশুর বাড়ির বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।মোসলেম আলীর স্ত্রী ফরিদা খাতুন বলেন,ছেলের বিয়ের পর আমার পুত্রবধূকে তালাক দিয়েছে বলে জানায়।কিন্তু তালাকের কাগজ পত্র দেখতে চাহিলে ফরিদা খাতুন কাগজ পত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়। আরো জানা যায়, মাছুম বিল্লাহ ছোটন বিদেশ যাওয়ার সময় খালেদা আক্তারের গরীব পিতার কাছ থেকে নগত ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে । খালেদা আক্তারের উপরে নির্যাতন জুলুম চলাকালীন অবস্থায় কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে যৌতুকের দাবীর বিপরীতে খালেদা আক্তার একটি অভিযোগ করেন।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি ২ নং বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যানের উপরে তদন্ত ভার দেন।তিনি ৯ টি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য, সদস্যা নিয়ে ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সম্মুখে তদন্তে যৌতুকের বিষয়টি প্রমাণিত হয়। বিগত কিছুদিন আগে মাসুম বিল্লাহ ছোটন বিদেশ থেকে বাড়ি আসে। তারপর গত ২৬ শে মে মাছুম বিল্লাহ ছোটনের অনুমতিতে তার স্ত্রী (মোবাইল ফোনে যোগাযোগে) খালেদা আক্তার সে নিজেই ঘর সংসার করার উদ্দেশ্যে শ্বশুর বাড়িতে আসে।খালেদা আক্তার শ্বশুর বাড়িতে আসা মুহুত্বেই তার উপরে তার শ্বাশুড়ি ফরিদা খাতুন সহ তার দেবর ইমন হোসেন বেধড়ক মারপিট ও নির্যাতন করে।খালেদার শ্বাশুড়ি ফরিদা পারভিন তিনি আরো বলেন, যে আমি কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।খালেদা আক্তারের পিতা কন্যার অসুস্থতার সংবাদ পেয়ে তার শ্বশুর বাড়িতে এসে খালেদা আক্তারকে গুরুত্বরো অসুস্থতা দেখে তার পিতা তাকে কালিগঞ্জ নারানপুর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।এ ব্যাপারে কালিগঞ্জ থানায় ২৮ মে মামলা দায়ের হয়েছে, মামলা নং ২১। পুলিশ এজহার নামীয় আসামী মুরশিদা কে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।