দেবহাটায় ন্যাশনাল সার্ভিসের কর্মীদের ভাতার টাকা নেওয়ার অভিযোগ!
দেবহাটা প্রতিনিধি :
দেবহাটায় ন্যাশনাল সার্ভিসের প্রশিক্ষণার্থীদের ভাতার টাকা নানা কারণ দেখিয়ে কর্তন করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এঘটনায় একাধিক ভুক্তভোগী প্রশিক্ষণার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব আব্দুল গণির কাছে অভিযোগ করেছেন।
প্রশিক্ষণার্থীরা জানান, তাদের ৩ মাসের প্রশিক্ষণের ৩৬ দিনের ছত্রিশশত টাকার মাস্টারোলে কৌশলে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে ব্যাংক এশিয়ার নলতা শাখায় জামা দেয়। সেখানে যুব উন্নয়নের এক কর্মকচারীকে বসিয়ে দেবহাটা থেকে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এসমোত আরা বেগম মোবাইল ফোনে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অনুপস্থিত দেখিয়ে তালবাহানা করে ভাতা কর্তন করা হচ্ছে। এমনকি অনেক প্রশিক্ষণার্থীদের একাউন্টে এখনো পর্যন্ত একটি টাকাও টাকা জমা হয়নি।
এদিকে হয়রানির শিকার অনেকে জানান, ব্যাংকে টাকা তুলতে গেলে ৩৬শত টাকার স্থলে কাউকে ২৮ থেকে ৩ হাজার প্রদান করা হচ্ছে। এবিষয় নিয়ে তার যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার সাথে কথা বলেতে গেলে তিনি নানা কারণ দেখিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, ৭ম পর্বে দেবহাটায় ন্যাশনাল সার্ভিসের কর্মসূচি শুরু থেকে উক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এমনকি একাধিক বার বিষয়টি নিয়ে পত্রপত্রিকায় সবাদ প্রকাশের পর কর্তৃপক্ষ টনক নড়ে। এর ফলে একাধীকবার তদন্ত হয়। এ দপ্তরের দুর্নীতি অনিয়ম কমাতে অবশেষে কয়েকজন কর্মচারীকে অন্যত্র বদলি করা হয় ।এমনকি চাপে পড়ে উক্ত কর্মকর্তা কয়েক প্রশিক্ষণার্থীর টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু তাতেও থেমে থাকেনি উক্ত কর্মকর্তার দুর্নীতি ও অনিময়।
এবিষয়ে উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার এছমোত আরা বেগমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার দপ্তরে কোন দুর্নীতি অনিয়ম হয়নি। তবে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক অনেক প্রশিক্ষণার্থী অভিযোগ করে বলেন, টাকা ছাড়া ম্যাডাম কোন কিছু বোঝেন না।
এব্যাপারে এশিয়া ব্যাংকের ম্যানেজারের নাম্বারে কল করলে তিনি রিসিভ করেন নি ।
উপজেলা চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব আব্দুল গণি বলেন, অনেকেই আমার কাছে অভিযোগ করেছে। তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করা হচ্ছে। আমি উক্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি। যদি কোন দুর্নীতি অনিয়ম হয় বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।