লাল-গোলাপী রঙে সেজেছে ফরিদপুরের লিচু বাগান
ডেস্ক রিপোর্ট :
রোদ ঝলমল জ্যৈষ্ঠের রসালো মৌসুমী ফল লিচু। গাছের সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে থোকায় থোকায় ঝুলে থাকা লাল-গোলাপী রঙের লিচু। সারাদিন রোজা শেষে ইফতারিতেও লিচুর চাহিদা অনেক বেশি। তাই পাইকারি ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসে ভিড় করছে ফরিদপুরের লিচু বাগানগুলোতে।
জেলার মধুখালী উপজেলার জাহাপুর, চরমনোহরদিয়া, দোস্তরদিয়া, গজারকান্দীসহ আশে পাশের গ্রামের সব লিচু বাগানগুলোতে এখন ধুম পড়েছে লিচু আহরণের। গ্রামগুলো যেন সেজেছে লাল-গোলাপী রঙে। লিচু নিয়ে প্রতিটি বাড়িতে চলছে উৎসব।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর মধুখালীর জাহাপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে বাণিজ্যিক ভাবে প্রায় ২২ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শ ও সহযোগিতায় চাষিরা নিরাপদ ও বিষ মুক্ত লিচু উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে।
এবছর শুধু মধুখালীর জাহাপুর ইউনিয়নেই কোটি টাকার লিচু বিক্রির প্রত্যাশা করছে কৃষি বিভাগ। তবে এসব গ্রাম থেকে সংগৃহিত লিচু প্রায় দেড় কোটি টাকায় বিক্রি হবে বলে আশা করছেন স্থানীয় লিচু বাগান মালিক ও চাষিরা।
স্থানীয় লিচু চাষি মো. ইউসুফ মল্লিক বলেন, ঝড় বৃষ্টিতে লিচুর কিছুটা ক্ষতি হলেও সেটা পুষিয়ে নিতে পারবো বাজারে ভালো দাম পাওয়া গেলে। তিনি জানান, ফরিদপুরের পাইকাররা ছাড়াও ঢাকা, দোহার, নবাবগঞ্জ, বান্দুরা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাবসায়ীরা লিচু কিনতে ছুটে আসছেন ফরিদপুরে।
দোহার থেকে ফরিদপুরে লিচু কিনতে আসা ব্যবসায়ী আশরাফ জানান, ফরিদপুরের লিচুর স্বাদ অনেক ভালো এবং দামও একটু কমে পাওয়া যায়। গতবছরও লিচু কিনতে এসেছিলাম এবারও এসেছি।
মধুখালীর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাদিরা বেগম বলেন, বাগান থেকে এক হাজার লিচু বিক্রি হচ্ছে দেড় থেকে দু’হাজার টাকায়। সেই হিসাবে ২২ হেক্টর জমি থেকে ৮০ লাখ থেকে এক কোটি টাকার লিচু বিক্রি হবে জৈষ্ঠ্য মাসে।
তিনি বলেন, স্থানীয় লিচু চাষিদের আমরা লিচু বাগানগুলোকে পোকা-মাকড় ও রোগ-বালাই থেকে সুরক্ষার জন্য বছরে তিন থেকে চারবার সরেজমিনে পরামর্শ দিয়ে থাকি। এর ফলে এই এলাকার কৃষক নিরাপদ ও বিষমুক্ত লিচু উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে।