কলারোয়ায় একটি সেতুর অভাবে হাজারো মানুষের দুর্ভোগ
জুলফিকার আলী,কলারোয়া :
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় একটি সেতুর অভাবে কয়েক গ্রামের মানুষ যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন পারাপার হচ্ছে। উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের কোটাবাড়ী গ্রামের বেত্রাবতী নদীতে শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে পার হয়ে আসছে। একই গ্রামের সাধারণ মানুষও বাজার করার জন্য ঝুঁকি নিয়ে পরা পার হয়ে আসছে। এমনিতেই রাস্তাঘাট বৃষ্টির মৌসুমে পানির নিচে তলিয়ে যায়। তার পর ঝুঁকি নিয়ে বেত্রাবতী নদী পার হতে হয় বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে। স্থানীয়রা জানায়, কোটাবাড়ী পার হয়ে রাটায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ একটি বড় বাজার আছে। যেখানে সকাল বিকেল বাজার করতে আশা শতশত মানুষের যেমন দুর্ভোগ তেমনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরও চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। ১৯৮৩ সালে বাঁশের সাঁকোটি নির্মিত হয়ে অদ্যবধি চলছে। আজও তার কোনো সুনির্দিষ্ট সমাধান হয়নি। এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি এই স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করলে শিক্ষার্থীসহ সর্বসাধারণের চলাচলের সুযোগ হবে।
হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ১৯৮৩ সালে কোটাবাড়ী বেত্রাবতী নদীর ওপর দিয়ে বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছিল। এত বছরেও এর পরিবর্তে ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। তিনি বিভিন্ন দফতরে আবেদন করেছেন একটি ব্রিজের জন্য, কিন্তু এখনও কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। মাঝে মধ্যে শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার শিকার হন। বর্তমান সরকার যদি একটি ব্রিজ নির্মাণ করেন তাহলে এলাকার হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগের পরিত্রাণ হবে। সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, বাঁশের সাঁকো পার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত স্কুল শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে। এমপি সাহেব সরেজমিন এসে দেখে গেছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান তারা পাননি।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই, তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি দেখে একটি স্টিমেট দিলে তিনি তা উপরমহলকে জনিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।