কালিগঞ্জে আম পাকাতে কার্বাইড ব্যবহার করছে ব্যবসায়ীরা নীরব প্রশাসন
ভ্রম্যমাণ প্রতিনিধি:
কালিগঞ্জে আম পাকানোর জন্য ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করছে বিষাক্ত কার্বাইড বেআইনি ভাবে অধিক লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে এই অপকর্ম করলেও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ কৃষক আম চাষের উপর নির্ভরশীল।স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আমের মুকুল আসার আগেই আম বাগান কিনে নেয় কৃষকদের নিকট থেকে। সাধারণত জ্যৈষ্ঠ মাসে আম পাকলেও বৈশাখ মাসের কয়েক দিন যেতে না যেতেই উপজেলায় ৫০-৫২ জন অসাধু ব্যবসায়ী প্রশাসন সহ বিভিন্ন দপ্তর ম্যানেজ করে অপরিপক্ব আম বিষযুক্ত কার্বাইড দিয়ে পাকিয়ে অধিক মুনাফার আশায় স্থানীয় বাজার সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে বলে জানা যায়। সরেজমিনে আম পাকানোর দৃশ্য দেখার জন্য উপজেলার কুশিলায় ইউনিয়নের রবিউল ইসলাম,জাহিরুল,সুমন,মাজহারুল ইসলাম,রহমত আলী,শামিম হোসেন, রাকিব হোসেন,রশিদ আলী,হাবু,নাজমুল হোসেন,অনীত কুমার,জাহাঙ্গীর,নায়েব আলী,মজনু, বিলাস,ইব্রাহিম,জুলু,শাহিনুর,মাছুদ,বদর আলী,গোবিন্দপুর গ্রামের সিরাজুল ও হায়দার আলী। বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের পারুল গাছা গ্রামের আব্দুর ছামাদ, শুকুর আলী,কওছার হোসেন,আকবর আলী,চাঁচায় গ্রামের আতাউর মেম্বার,নজরুল ইসলাম, জয়পত্রকাটি এলাকার লুৎফর রহমান ও ফতেপুর গ্রামের বলায় মন্ডল।কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের রঘুনাতপুর গ্রামের আজিবার রহমান,সালাম গাজী,হাবিবুর গাজী,মনিরুল ইসলাম,কুদ্দুস গাজী,সামাদ গাজীর ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে দেখাযায় হাজার হাজার মণ আম বিষযুক্ত কার্বাইড দিয়ে পাকানো হচ্ছে এবং প্রতিদিন ট্রাক যোগে পাঠানো হচ্ছে স্থানীয় বাজার সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।এলাকার অধিকাংশ মানুষ না বুঝেই এই আম খেয়ে কিডনি রোগ সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে।
কার্বাইড দিয়ে আম পাকানোর কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন ,মেডিসিন না দিলে রং ভাল হয়না তাছাড়া অপরিপক্ব আম এজন্য পঁচে যায় তিন মাস এই ব্যবসার উপর নির্ভরশীল এজন্য অধিক লাভের আশায় তারা মেডিসিন ব্যবহার করেন এবং প্রশাসন সহ স্থানীয় নেতাদের ম্যানেজ করে এই অপকর্ম করেন বলে তারা জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আকছেদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কার্বাইড যুক্ত আম দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক কিডনির উপর সরাসরি এর প্রভাব পড়ে এজন্য এই আম খেলে ধীরে ধীরে কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে তিনি জানান।
কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈন উদ্দীন হাসান বলেন ,এবিষয়ে তিনি কোন অভিযোগ পাননি। তবে অভিযোগ পেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান। কিছু অসাধু কার্বাইড দিয়ে পাকানোর ফলে সচেতন ক্রেতার বাজার থেকে কিনতে ভয় পান দেশীয় ফল আম। এইসব অসাধু ব্যবসায়ীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে এলাকার সচেতন মহল।