নিজের মেয়েকে বিষ খাইয়ে জামাইকে নিয়ে পালালেন শাশুড়ী!
ডি এস ডেস্ক:
মায়ের সঙ্গে স্বামীর অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলে মেয়ে। আর এটাই তার জীবনের কাল হয়ে দাঁড়ায়। এতে মা ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়ে মালা (২০)কে বিষ খাইয়ে দেয়।
পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়ের মৃত্যু হলে লাশ হাসপাতালে রেখেই চার সন্তানের জননী নার্গিস বেগম তার জামাই মামুন ঢালীকে নিয়ে পালিয়ে যান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পুলিশকে জানায়।
সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নে ২ নম্বর ওয়ার্ডে। ওই ঘটনার পর থেকে নার্গিস ও মামুনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই দুজনকে খুঁজে পায়নি পুলিশ।
নিহত মালা বেগমের চাচা হেলাল হাওলাদার জানান, পাঁচ বছর আগে গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামের মামুন ঢালীর সঙ্গে মালার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মালা শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন। সম্প্রতি মালার বাবা মারা যান। এর পর থেকে মায়ের দেখভাল করতে মামুনকে নিয়ে মালা বাবার বাড়িতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। কিছু দিন আগে নার্গিস বেগমের সঙ্গে মামুনের পরকীয়ার সম্পর্কের বিষয়টি বুঝতে পারেন মালা।
হেলাল হাওলাদার আরও জানান, জামাইয়ের সঙ্গে নার্গিস বেগমের সম্পর্কের বিষয়টি এলাকার লোকজনও জানত। গত বুধবার রাতে নার্গিস বেগম ও মামুনের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি হাতেনাতে ধরে ফেলেন মালা। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়াও হয়। ওই রাতেই খাবারের সঙ্গে মালাকে বিষপান করায় তার মা নার্গিস বেগম ও স্বামী মামুন।
পরে তারাই মালাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মেয়ের লাশ হাসপাতালে রেখেই নার্গিস বেগম তার জামাই মামুনকে নিয়ে পালিয়ে যান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পুলিশকে জানায়।
লাশের সুরাতল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের পর গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চাচা হেলাল হাওলাদারের কাছে মালার লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাউফলের মদনপুরা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে মালার পৈত্রিক বাড়িতে দাফন করা হয়।
বাউফল থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়ভাবে জেনেছি শাশুড়ির সঙ্গে জামাইয়ের পরকীয়া ছিল। বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান চলছে। ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্ট হাতে পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।