শ্যামনগরে সুন্দর বনে বনদস্যুদের উৎপাতে আতংকে জেলে ও মাওয়ালরা
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার অবস্থিত সুন্দরবনে আবারও বেড়েছে বনদস্যুদের উৎপাত আতংকে রয়েছে জেলে ও মাওয়ালরা। প্রশাসনের নিকট সুন্দরবনের অনেক বনদস্যু বাহিনির প্রধান সহ আতœসমার্পণ করলেও নতুন করে আবার গড়ে উঠেছে বনদস্যু বাহিনী। সুন্দর বনের নদী থেকে মাছ ও মধু আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে স্থানীয় হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু বর্তমানে নদীতে মাছ ধরতে ও মধু আহরণ করতে গেলে জেলে ও মাওয়ালদের নিকট বড় অংকের টাকা দাবী করছে বনদস্যু বাহিনীরা। ওই বনদস্যুদের আতংকে নদীতে ও বনে প্রবেশ করতে ভয় পাচ্ছে তারা।
সরেজমিনে গেলে স্থানীয় জেলে ও মাওয়ালদের সাথে সাক্ষাৎ কালে ছদ্দনাম জেলে শাহিন গাজী,আরব আলী জহুর আলী সহ আরো অনেকে জানান মাছভাঙ্গা খাল থেকে শুরু করে নদীতে মাছ ধরতে গেলে তাদেরকে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবী ও মারধর করছে বনদস্যুদের ৪-৫ টি বাহিনী এদের মধ্যে হিংস্র বাহিনী উপজেলার টেংরাখালী গ্রামের মজিদ ভাঙ্গীর ছেলে জাকির ও তার বাহিনি, কালিঞ্চি গ্রামের ছেমদ্দি আলীর ছেলে জামির আলী ও তার বাহিনী ও আতœসমার্পণ কারী বনদস্যু টেংরাখালী গ্রামের মান্দার ভাঙ্গার ছেলে লাল্টু মেম্বার ও তার বাহিনী এবং ভারতীয় নাগরিক জোনাব বাহিনী,নুর ইসলাম বাহিনী।
বুড়িগোয়ালিনি নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ অনিমেস হালদার জানান, বনদস্যু ও জলদস্যু নির্মূলে তাদের অভিযান অব্যহত আছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্যামনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম জানান, বনদস্যূ দমনে তাদের অভিযান অব্যহত আছে। বুড়িগোয়ালিনি বন বিভাগের স্টেশন অফিসার কে, এম, কবির উদ্দীন বলেন হঠাৎ করে বনদস্যূদের তৎপরতা বেড়ে গেছে স্থানীয় কিছু ব্যাক্তি এই বাহিনী গড়ে তুলছে এবং জেলে ও মাওয়ালদের আটক করে মুক্তিপণ দাবী সহ মারধর করছে। তবে বনদস্যূদের আটক করার জন্য তাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান বলেন ,সুন্দরবনের যে অংশ সাতক্ষীরা জেলার মধ্যে পড়েছে সেখানে জলদস্যু বা বনদস্যু ছিল আমরা তাদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছি ।আর স্থানীয় ভাবে কিছু বাহিনী গড়ে উঠেছে বলে শুনেছি । আমরা বিষয়টি তদন্ত করে অচিরেই ব্যবস্থা নেব ।