আশাশুনির মোকামখালী গেটের খালের পাশের বাঁধ ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি :
আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নের মোকামখালী স্লুইস গেট দিয়ে জোয়ারের পানি উঠানোয় খালের পাশের বাঁধগুলো হুমকীগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও বাঁধ ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হয়ে গেছে।
মোকামখালী স্লুইস গেট দিয়ে প্রতি গোনেগণে গেটের পাট খুলে দিয়ে জোয়ারের পানি উঠানো-নামানো করা হয়ে থাকে। এতে এলাকার মৎস্য ঘের গুলোতে পানি সরবরাহ করা হলেও পানি উঠানোর নামে জোয়ারভাটা দিয়ে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা মাছ ধরে লাভবান হওয়ার দিকটাই বেশী নজর দিয়ে থাকেন। নিয়মিতভাবে পানি উঠানোর ফলে মোকামখালী থেকে পূর্ব কাদাকাটি পর্যন্ত দীর্ঘ খালটি পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে। ফলে জোয়ারের পানির চাপে খালের পাশের বাধগুলো ধ্বসে গিয়ে এলাকা প্লাবিত ও মৎস্য ক্ষেত ভেসে গিয়ে থাকে। অনুমান দেড় মাস পূর্বে পানির চাপে মিত্র তেতুলিয়া গ্রামের বাবর আলি সরদারের বাধ ভেঙ্গে যায় এবং তার ঘরের মধ্যেও পানি উঠে যায়। এতে হাজার হাজার টাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়। সেই থেকে পাশের বিকাশ শীল ও হরমুজমহ অন্যবাধগুলো চরম বিপদাপন্ন হয়ে আছে। ইতিপূর্বে তাদেও বাধ ভেঙ্গেও লাখ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। গোণমুখে পানির চাপ বৃদ্ধি পেলে বিকাশ শীলের বাধও ভেঙ্গে যেতে পারে। তখন পাশর্^বর্তী মহসিন, কবির, ফারুক, ইয়াকুব, ফটিক, বিকাশ, বিজয়, নকুল, কৃষ্ণপদ, ছাক্কার, নিরান, আফছার, মুছা, মোসলেম, ভুট্টোর মৎস্য ঘের ও বাড়িতেও পানি উঠে যাবে।
৩ বছর আগে অগ্রগতি সংস্থা এই বাঁধটি ৮/৯ হাত চওড়া করে বেধে দিয়েছিল। ফলে পাশের বাঁশের সাঁকো পার হয়ে এই রাস্তা দিয়ে মোকামখালী ও বলাবুনিয়া গ্রামের মানুষ ও বাচ্চারা এপারে ও স্কুলে যাতয়াত করতে পারতো। এপারের মানুষও একই ভাবে অপর পারে যাতায়াত করতো। কিন্তু খালের রাতে ওই বাধটি ভেঙ্গে যাওয়ায় এখন যাতয়াত কষ্টসাধ্য ও হুমকীপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা থাকলে বর্ষা মৌসুমে মানুষের যাতায়াত ও স্কুলগামী বাচ্চাদের স্কুলে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাবে। বিকাশ শীলসহ এলাকাবাসী জানান, বাবর আলী তার বাধটি রক্ষার্থে এগিয়ে আসলে বিকাশের বাধে চাপ পড়তো না এবং এলাকাবাসী হুমকি থেকে রক্ষা পেত।
ইউপি চেয়ারম্যান দিপংকর কুমার সরকার জানান, খাল ভরাট হয়ে গেছে। এলাকাকে প্লাবনের হাত থেকে রক্ষা ও মৎস্য ঘেরে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে দ্রুত খাল খনন করা দরকার। খাল খনন করলে খালের দু’পাশে কেয়ার রাস্তা নির্মাণ করা যাবে। তখন দু’পাড়ের মানুষ ঝুকিমুক্ত হতে পারবে। কর্মসূচির কাজ করার জন্য বাধগুলোতে কাজের প্রস্তাব করা হয়েছে। কাজ শুরু হলে ওখানে কাজ করানো হবে। আপাতত বাবরালীসহ যারা জমি দখল করে আছেন তাদের নিজেদের বাধ রক্ষার্থে কাজ করার জন্য তিনি আহবান জানান।