সূর্যে যাবে নাসা!
নাসা প্রতিষ্ঠা পায় ১৯৫৮ সালে। ২০১৮ সালে এসে ৬০ বছর পার করতে এবার সূর্যে পৌঁছানোর পরিকল্পনা করে ফেলেছে নাসা।
সৌরজগতের কেন্দ্র উত্তপ্ত সূর্য এবার নাসার পরবর্তী মিশন হচ্ছে। নাসার এই যানটিই হবে মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে প্রথম কোনো স্পেসক্রাফ্ট যেটি সূর্যের পরিমণ্ডলের গভীরে প্রবেশ করবে।
`পার্কার সোলার প্রোব‘ নামের মহাকাশযানে ভর করে সূর্যকে স্পর্শ করবে নাসা। যানটির উৎক্ষেপণ করা হবে ২০১৮ সালের জুন মাসে। কিন্তু নাসা বলছে, এটি সূর্যের চারদিকে ঘুরতে শুরু করবে ২০২৪ সাল থেকে। সূর্যের উপরপৃষ্ঠ অত্যন্ত গরম। সেখানকার তাপমাত্রা ১০ হাজার ডিগ্রি ফারেনহাইটেরও বেশি। আর তাই পার্কারের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, প্রচণ্ড গরমের মধ্যে টিকে থাকা।
এ পর্যন্ত সূর্যের দিকে পাঠানো সব শাটল এর তুলনায় পার্কার সোলার প্রোব সূর্যের সবচেয়ে কাছে যাবে। নাসা জানায়, সূর্য থেকে প্রায় ৬২ কিলোমিটার দূর দিয়ে যাবে এই উপগ্রহ। পরিমণ্ডল বা ফটোস্টিম্ফিয়ারের যে জায়গায় থেকে এটি ঘুরবে, সেখানকার তাপমাত্রা এক হাজার ৩০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা আড়াই হাজার ডিগ্রি ফারেনহাইট।
সূর্যের চারদিকে এর ঘোরার গতি হবে ঘণ্টায় চার লক্ষ ৩০ হাজার মাইল। পার্কার তৈরি করে এই যানটিকে মহাকাশে পাঠাতে নাসার খরচ হবে প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার। এর আকার হবে ছোট্ট একটি গাড়ির সমান। সূর্য থেকে প্রায় ৪০ লাখ মাইল দূরে থেকে পার্কার নিজের কাজ করবে।
পার্কার জানার চেষ্টা করবে সূর্যের গঠন সম্পর্কে নাসার এই মিশনের বিজ্ঞানী নিকি ফক্স বলছেন, বিশাল সূর্যের চারদিকে পার্কার ঘুরবে মোট ২৪ বার। সূর্যের বাইরের অ্যাটমসফিয়ারের পরিবেশ আরও কঠিন ও জটিল। প্রচণ্ড তাপমাত্রার সঙ্গে আছে তেজস্ক্রিয় রশ্মির বিকিরণ। নিকি ফক্স আরও বলেন, পার্কারের সাফল্যের ওপর তাদের ভরসা আছে। তারা মনে করেন মহাকাশ থেকে তাদের কাছে প্রচুর তথ্য পাঠাবে এই পার্কার।
Please follow and like us: