সাতক্ষীরা কৃষি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা আমিনুলের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ
ফারুক সাগর: সাতক্ষীরা বিএডিসি সদর উপজেলা কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোঃ আমিনুল ইসলাম দূর্নীতি,অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার সহ অবৈধ সম্পদের পাহাড় তৈরী অভিযোগ উঠেছে।সরকারি অফিসে নাম মাত্র হাজিরা দিয়ে নিজের ব্যক্তিগত কাজে সময় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সে সরকারী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে একই স্থানে ৪ বছর চাকরি করছেন। অদৃশ্য এক ক্ষমতার বলে তিনি এসব করছেন। তাকে অন্যত্রে বদলীর জন্য দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।ঘটনার বিবরণে জানা যায়,তালা থানার ইসলামকাটি গ্রামে মৃত:নছিম উদ্দীনের পুত্র আমিনুল ইসলামে(৫০)। তারা ৫ ভাই। পিতার ৮/১০ বিঘা সম্পত্তি। কিন্তু আমিনুল ইসলাম ২০০৭ সালে সরকারী বিএডিসি অফিসে চাকরি পান। তার স্ত্রী ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করেন। সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় বীজ শাখায় দায়িত্বে আছেন তিনি। মনিরামপুর উপজেলায় চাকুরীকালীন সময় তার বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকান্ডের ফলে ঝাড়ু মিছিল হয়। সেখান থেকে বিদায় নিয়ে সাতক্ষীরায় যোগদান করে শুধুমাত্র অফিসে হাজিরা দেয়,দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করে না। তার আপন ভাই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থাকার সুবাদে আইনকে তোয়াক্কা না করে দাপট এর সাথে চলছে।সংশ্লিষ্ট তথ্য সূত্র অনুযায়ী,সাতক্ষীরা সদরের বিএডিসি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম তার আপন ভাই শেখ রেজাউল,শেখ মিজানুর,শেখ আব্দুল আজিজ এর নিকট হতে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকায় ২ বিঘা জমি ক্রয় করেছেন। তালা প্রেসক্লাবের পিছনে ০৭ শতক জমি যার মূল্য কোটি টাকা প্রায়। ইসলামকাটি বদর মোড় জামাল শেখ এর নিকট থেকে ৫ টি দোকান,জমি ৫ শতক সব মিলে ২৫ লক্ষ টাকার সম্পদ ক্রয় করেছে। তালা থানার ইসলামকাটির উত্তর ইসলামকাটি গ্রামে তার বাড়ীতে প্রবেশ পথ থেকে ঘরের সিড়িতে উঠতে কনক্রিট রাস্তা, ৫ তলা ফাউন্ডেশন বাড়ি ১ তলা কমপ্লিট টাইলস দিয়ে আলীশান বাড়ি। তার বিরুদ্ধে রয়েছে সরকারী কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ। এলাকাবাসীর দাবি তাকে সাতক্ষীরা থেকে অনত্র বদলি করে সরকারের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও দুদক দ্বারা গোপন এবং প্রকাশ্য তদন্ত করলে তার অঢেল সম্পদের পাহাড়ের সন্ধান পাওয়া যাবে।এই বিষয়ে বিএডিসি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম উল্লেখিত সম্পদের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ২০২৪-২০২৫ অর্থ বৎসরে চৌত্রিশ শত টাকা আয়কর প্রদান করেছেন।