পাইকগাছায় বাঁশের সাঁকো যেনো মরণ ফাঁদ
শাহরিয়ার কবির:
খুলনার পাইকগাছায় দেলুটি নদীতে লতা-দেলুটি খেয়াঘাটটি স্থানীয় সরকার বিভাগের তালিকা ভূক্ত, প্রতি বছর সরকারি ভাবে রাজস্ব আদায় হলে ও উন্নয়ন হয়নি লতা-দেলুটি খেয়াঘাটের পশ্চিমপাড়। দীর্ঘদিন ধরে চরম ভোগান্তি স্বীকার দৈনন্দিন স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী সহ শত শত পথযাত্রী মানুষ।এ সাঁকোটি যেনো মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মন্ডলের বাড়ি সংলগ্ন লতা-দেলুটি খেয়াঘাট অবস্থিত। অত্র এলাকায়, চাকুরীজীবি সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ খেয়াঘাট পার হয়ে সহজে পাইকগাছা উপজেলা সদরে আসার মাধ্যম এ ঘাটটি। দেলুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দেলুটি জিরবুনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ জেলা পরিষদের পুকুর, ও সাপ্তাহিক বাজার অবস্থিত এ গ্রামটিতে । প্রতিদিন সকাল-বিকালে লতা গ্রাম থেকে অসংখ্য নারীরা খেয়া পার হয়ে দেলুটি সরকারী পুকুর, এবং জনৈক সালাউদ্দিনের ঘের সংলগ্ন টিউবওয়েলের পানি খাওয়া ও রান্নার কাজে ব্যবহার করে থাকেন।দেলুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী অনিতা রায় বলে প্রতিদিন লতা গ্রাম থেকে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী খেয়া পার হয়ে দেলুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় যেতে হয়। আমাদের খেয়াঘাটের পূর্বপাড় কিছু অংশ পাকা থাকলেও পশ্চিম পাড়ে কোন পাঁকা ঘাট নাই। জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকোর উপর ভর দিয়ে ঝুকি নিয়ে পার হতে হয় প্রতিদিন। অনেক সময় পা পিছলে কাদায় পড়ে বই খাতা, পরনে পোষাক নষ্ট ও শরীরের আঘাত পেয়ে স্কুলে না যেয়ে বাড়িতে ফিরতে হয়। ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী রমেশ বলে, নদীতে জোয়ারের সময় কিছুটা পারাপার সহজ হয়, নদীতে ভাটা হলে হাঁটু কাদা মাড়িয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া খুবই ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
দেলুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত কুমার সানা বলেন, খেয়াঘাটের পশ্চিমপাড়ে পাঁকা ঘাট না থাকায়, ২/৩ রশি জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকো ঝুকি নিয়ে পার হতে হয় শিক্ষার্থীদের। খেয়ামাঝি পরিমল দাশ বলেন, লতা থেকে প্রতিদিন স্কুল পড়ুয়া দু”শতাধীক মানুষ পারাপার হয়। নদীতে ভাটায় বাশের সাঁকো ছাড়াও চরে কাদায় হেটে খেয়া নৌকায় উঠতে দুর্ভোগে স্বীকার হতে হয় যাত্রীদের। ইউপি সদস্য কিংশুক রায় বলেন, সরকারিভাবে লতা দেলুটি পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত খেয়াঘাটটি দীর্ঘদিনে ও সংস্কার হয়নি, ঝুকি নিয়ে প্রতিদিন পার হতে হয় শত শত মানুষের। দ্রুত ঘাটটি সংস্করণ করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।দেলুটি ইউপি চেয়ারম্যান রিপন মন্ডল বলেন,জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে নদীর নাব্যতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, নদী ভরাটের কারনে চর বেড়ে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন, সরকারি বরাদ্ধর মাধ্যমে ঘাটটি দ্রুত সংস্করণের চেষ্টা করবো।