ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার মুখে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত
আন্তজার্তিক ডেস্ক:যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তদন্ত চালানোর অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক নির্বাহী আদেশে তিনি এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, আইসিসি যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরই যুক্তরাষ্ট্র এই সিদ্ধান্ত নেয়। ট্রাম্পের ভাষ্য, এই তদন্ত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। নিষেধাজ্ঞার আওতায়— আইসিসি যুক্তরাষ্ট্রে কোনো সম্পদ ক্রয় করতে পারবে না। আদালতের কর্মকর্তারা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে হেগভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। এক বিবৃতিতে আদালত জানায়, এটি স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ এবং আইনের শাসনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এদিকে জার্মানি জানিয়েছে, তারা আইসিসিকে সমর্থন দিয়ে যাবে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার নিশ্চিত করতে আইসিসিকে বাধাহীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, আইসিসির দুর্বলতা ফিলিস্তিন, ইউক্রেন, সুদান ও আফগানিস্তানের মতো অঞ্চলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে।আইসিসি এর আগেও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল আইসিসির সদস্য নয়, ফলে নিষেধাজ্ঞার বাস্তবিক প্রভাব কতটা হবে, তা নির্ভর করছে সদস্য দেশগুলোর ভূমিকার ওপর।