শ্যামনগরে সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলা নারী সহ আহত ১২
রঘুনাথ খাঁ ঃ রাস্তা প্রশস্ত করতে জমি দিতে রাজী না হওয়ায় এক সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় ওই পরিবারের ১২ জন নারী ও পুরুষ আহত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল চারটার দিকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নৈকাটি গ্রামে এঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে বিশ্বজিৎ জোয়ারদার(৪৫), কৃষ্ণ জোয়ারদার(৪২), সুব্রত গায়েন(২৮), খুকু মনি(৩৫), প্রফুল্ল জোয়ারদার(৪৮), পলাশ জোয়ারদার(২৪) ও পথচারী নুর হোসেনক(৬৫)শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীনবিশ্বজিত জোয়ারদার জানান, প্রতিপক্ষের চলাচলের সুবিধার্থে ইতিপূর্বে নিজেদের জমির পাশ থেকে কিছুটা জায়গা ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি তারা আরও জায়গা দাবি করেন ভারী যানবাহন নিয়ে যাওয়ার সুবিধার্থে। তবে জায়গা না দেয়ার জেরে গত কয়েকদিন ধরে তাদেরকে নানাভাবে হুমকি ধমকী দেয়া হচ্ছিল। একপর্যায়ে শুক্রবার বিকালে সেই জমিতে ইরি ধান রোপন করতে গেলে নৈকাটি গ্রামের জিয়াদ মোড়লের ছেলে ফজলু ও এন্তাজ মোড়লের ছেলে হাফিজুরসহ বাবলু, জিয়াদ, আশরাফুল, এন্তাজ, হযরত, দাউদ, হামিদ ও বারিসহ ১০/১৫ জন ভাড়াটে লাঠিয়াল তাদের উপর হামলা করে। হামলায় তিনিসহ ১২ জন আহত হয়।
এসময় তাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসায় নুর হোসেন নামে এক পথচারী মারাত্বক আহত হয় বলেও তিনি দাবি করেন। হামলার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে থানা পুলিশকে লিখিত অভিযোগ করবেন বলেও তিনি জানান। অভিযোগের বিষয়ে ফজলু মোড়ল জানান দীর্ঘ চার/পাঁচ বছর ধরে চলাচলের রাস্তা নিয়ে ঝামেলা চলছে। ধান রোপনের সময় চলাচলের রাস্তা কেটে দেয়ার চেষ্টা করায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তার পক্ষের আব্দুল বারী ও দাউদসহ আনোয়ারা নামের এক নারী আহত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন বলেও তিনি দাবি করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্মরত শাকির হোসেন জানান অবস্থা বেশী খারাপ হওয়ায় তিনজনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবীর জানান এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।