খুব শিগগিরই দেশে ফিরছেন না খালেদা জিয়া
ডেস্ক রিপোর্ট:বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্য থেকে খুব শিগগিরই দেশে ফিরছেন না। তবে, কবে নাগাদ তিনি দেশে ফিরবেন তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।এদিকে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকায় লন্ডন থেকে ঢাকার দিকে রওনা হয়েছেন বেগম জিয়ার মেডিকেল টিমের চারজন সদস্য। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তাদের।তারা হলেন- ডা. এফ এম সিদ্দিকী, ডা. মো. সাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুর উদ্দিন আহমদ ও ডা. জাফর ইকবাল। বাকি দুজন ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও মোহাম্মদ আল মামুন থাকছেন বিএনপি নেত্রীর সঙ্গেই। যুক্তরাজ্যের হিথরো বিমানবন্দর থেকে শুক্রবার লন্ডন সময় সন্ধ্যা ৬টা ২০মিনিটের একটি ফ্ল্যাইটে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেছেন ওই চার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।গত ৭জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসায় যুক্তরাজ্যে যাওয়ার সময় বেগম জিয়ার সফর সঙ্গী হয়ে ছিলেন তারা। মেডিকেল বোর্ড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, প্রায় একমাস লন্ডনে অবস্থান করা ও বিএনপি নেত্রীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকায় মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা দেশে ফিরে আসছেন।
বেগম জিয়া ঠিক কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন বা ফিরতে চান তা এখনও নির্ধারণ হয়নি বলেও অনিশ্চিতভাবে লন্ডনে না থেকে দেশে ফিরছেন ওই চারজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তাই প্রায় একমাস সেখানে থাকার পর তারা দেশে ফিরছেন বলে জানো গেছে। তবে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যেকোনো প্রয়োজনে আবারও বেগম জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওনা দেবেন মেডিকেল বোর্ডের এই চিকিৎসকরা।মেডিকেল বোর্ড ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেকটা স্থিতিশীল। বড় ছেলে ও তার পরিবারের সঙ্গে থাকায় বিএনপি নেত্রী মানসিকভাবেও অনেকটা সুস্থ আছেন স্বাভাবিকভাবেই। শুক্রবার তার বেশ কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট ভালো এসেছে বলে জানা গেছে।
গত ৭ জানুয়ারি কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর পরপরই খালেদা জিয়াকে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে তিনি লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডির নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।৭৯ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপারসন লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসের জটিলতাসহ একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন।চিকিৎসার জন্য সবশেষ ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। পরের বছর দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে কারাগারে যেতে হয় তাকে। কোভিড মহামারি দেখা দিলে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দিয়ে বাড়িতে থাকার সুযোগ করে দিলেও বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। তখন বিএনপির অভিযোগ ছিল খালেদা জিয়াকে সরকার গৃহবন্দি রেখেছেন।ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর মুক্তি পান খালেদা জিয়া। তারপরই চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান তিনি।