ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন মর্মাহত ইউনূস
ডেস্ক রিপোর্ট:বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটার বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা বিক্ষোভ থেকে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের সৃষ্টি হয়; যা গত জুলাইয়ে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। সেই সময় ছাত্র-জনতা আন্দোলন সহিংস উপায়ে দমন ঘিরে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়। যদিও শেখ হাসিনার সরকার ছাত্রদের আন্দোলনে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।আন্দোলনকারীরা নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বেছে নেন। বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের এই প্রধান উপদেষ্টা চলতি বছরের শেষের দিকে অথবা ২০২৬ সালের প্রথম দিকে নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি আগ্রহী নন বলে জানিয়েছেন।দরিদ্র্যদের ব্যাংকার’’ হিসাবে পরিচিত ড. ইউনূস ও তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংককে ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করার কৃতিত্ব দেওয়া হয়। ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল জিতেছিলেন অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।তিনি বলেন, ‘‘ব্যক্তিগতভাবে আমি প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে খুব বেশি চালিত না। আমি একেবারে নিম্ন স্তরের মানুষের জীবনযাত্রার মানে চালিত। তাই আমি এমন এক অর্থনীতি আনতে চাই; যা সম্পদ কেন্দ্রীকরণের সম্পূর্ণ ধারণাকে এড়িয়ে যায়।বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দৃঢ় বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি এবং তিনি নয়াদিল্লিতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে এই সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠেছে। হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন ড. ইউনূস। আন্দোলনকারী ও রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং নিজের মেয়াদকালে হাসিনা যেসব অপরাধ করেছেন সেজন্য শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে চান তিনি।এই কঠিন সময়ে ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী চীনকে বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী বন্ধু হিসেবে অভিহিত করে ড. ইউনূস বলেছেন, নয়াদিল্লির সঙ্গে টানাপড়েনের সম্পর্ক ব্যক্তিগতভাবে আমাকে অনেক কষ্ট দেয়।তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সবচেয়ে শক্তিশালী হওয়া উচিত। আপনি জানেন, বাংলাদেশের মানচিত্র না এঁকে আপনি ভারতের মানচিত্র আঁকতে পারবেন না। বাংলাদেশের স্থল সীমানার প্রায় পুরোটাই ভারতের সাথে।