ভিসা বন্ধ,ক্ষতির মুখে বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবসায়ীরা

অনলাইন ডেস্ক:
রাজনৈতিক পট পরিবর্তন পরবর্তী সময়ে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশিদের ভিসা বন্ধ রেখেছে ভারত। এতে কমে গেছে যাত্রী যাতায়াত। ভিসা বন্ধ থাকায় দুই দেশের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করেন নাগরিকরা। ভিসা বন্ধ থাকায় দুই দেশের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।

বেনাপোল বন্দর থেকে ভারতের কোলকাতা শহরের দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। ভ্রমণ, ব্যবসা চিকিৎসা বা অন্যান্য কাজে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতকারীদের বড় অংশ ব্যবহার করেন বেনাপোল-পেট্রাপোল রুট।

গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী তৈরি হওয়া অস্থিরতার জেরে বাংলাদেশে ভিসা বন্ধ রেখেছে ভারত। এতে বেনাপোল-পেট্রাপোল রুট দিয়ে কমে গেছে যাতায়াত। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে কমেছে ২ লাখ ৩৪ হাজার। বাংলাদেশিদের পাশাপাশি কমেছে ভারতীয়দেরও যাতায়াত।

যাত্রী কম থাকায় চাপ নেই ইমিগ্রেশনেও। বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসি ইমতিয়াজ মোহাম্মদ আহসানুল কাদের ভূইয়া বলেন, ভারত ভিসা না দেয়ার কারণে বেনাপোল ইমিগ্রেশন যাত্রীদের যাতায়াত অনেক কমে গেছে। তবে যারা ভিসা পাচ্ছেন তাদের সেবা দেয়ার জন্য ইমিগ্রেশন পুলিশ সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।

যাতায়াতকারীরা বলছেন, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বর্তমানে নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে। এমন বাস্তবতায় ভারত আবারও ভিসা চালু করতে পারে।

বেনাপোল বন্দরে থাকা যাত্রীরা জানান, ভারত ভিসা সেবা বন্ধ রাখায় ভ্রমণ, চিকিৎসা, শিক্ষা কিংবা অন্যান্য কাজে বাংলাদেশিরা যেমন যেতে পারছেন না, তেমনি ক্ষতির মুখে পড়ছেন ভারতীয়রাও।

বেনাপোল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক ফয়সাল আহসান সজীব বলেন, সাময়িকভাবে বন্দরের আয়ে কিছুটা প্রভাব পড়লেও এটি শিগগিরই ঠিক হয়ে যাবে।

সবশেষ ১৯ জানুয়ারি বেনাপোল দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতে যাতায়াত করেছে ১ হাজার ৭৩৫ জন পাসপোর্টধারী।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)