মহান আল্লাহর প্রিয় হওয়া যায় যে ৫ গুণে
লাইফস্টাইল ডেস্ক:মহান আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রতিটি মুমিনের হৃদয়ে লালিত স্বপ্ন। আল্লাহ তাআলা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর ইবাদতের জন্য। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন। আমি জিন ও মানুষকে সৃষ্টি করেছি কেবল আমার ইবাদতের জন্য।’_ (সুরা জারিয়াত: ৫৬)
মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কিছু বিশেষ গুণ অর্জন করা জরুরি। এখানে এমন পাঁচটি গুণ তুলে ধরা হলো, যেগুলো ধারণ করলে একজন মুমিন আল্লাহর প্রিয় হতে পারেন।
১. সৎকর্মশীলতা
সৎকাজ মানুষের পরকালীন জীবনের মূলধন এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের অন্যতম মাধ্যম। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন—
_‘তোমরা আল্লাহর পথে ব্যয় করো এবং (ব্যয় না করে) নিজেরা নিজেদের সর্বনাশ করো না। আর তোমরা সৎকর্ম করো, নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালোবাসেন।’_ (সুরা বাকারা: ১৯৫)
২. তাওবা করা
তাওবা আল্লাহর রহমতের এক বিশেষ দরজা, যার মাধ্যমে বান্দা তাঁর পাপ থেকে মুক্তি লাভ করতে পারে। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বান্দাদের তাওবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন—
_‘হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহর কাছে খাঁটি তাওবা করো। আশা করা যায়, তোমাদের রব তোমাদের পাপ মোচন করবেন এবং এমন জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার পাদদেশে নহর প্রবাহিত।’_ (সুরা তাহরিম: ৮)
৩. তাকওয়া অবলম্বন
তাকওয়া অর্থ আল্লাহভীতি এবং তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা। এটি মুমিন জীবনের এক অপরিহার্য গুণ। কোরআনে কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন—
_‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের সঙ্গে থাকেন, যারা তাকওয়া অবলম্বন করে।’_ (সুরা নাহল: ১২৮)
৪. ধৈর্যধারণ করা
জীবনে সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, বিপদাপদ অবশ্যম্ভাবী। আল্লাহ তাআলা ধৈর্যশীলদের ভালোবাসেন এবং তাদের পুরস্কৃত করেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে—
_‘আল্লাহর পথে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদের ওপর যে বিপর্যয় এসেছে, তাতে তারা দুর্বল হয়নি, ভীত হয়নি এবং নত হয়নি। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের ভালোবাসেন।’_ (সুরা আলে ইমরান: ১৪৬)
৫. আল্লাহর ওপর ভরসা করা
সকল ক্ষমতার মালিক একমাত্র আল্লাহ। তাই জীবনের প্রতিটি কাজে তাঁর ওপর নির্ভর করা প্রয়োজন। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন—
_‘যখন তুমি কোনো সংকল্প গ্রহণ করো, তখন আল্লাহর ওপর ভরসা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ভরসাকারীদের ভালোবাসেন।’_ (সুরা আলে ইমরান: ১৫৯)
এই পাঁচটি গুণ অর্জন করলে একজন মুমিন আল্লাহর প্রিয় হতে পারেন। প্রতিদিনের জীবনে সৎকর্ম করা, তাওবার মাধ্যমে পাপমুক্ত হওয়া, তাকওয়া অবলম্বন, ধৈর্যধারণ এবং আল্লাহর ওপর পরিপূর্ণ ভরসা রাখার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি।