হজ নিবন্ধনে সাড়া কম, বিমানভাড়া কমাতে মন্ত্রণালয়ের চিঠি
অনলাইন ডেস্ক:
আগামী বছর হজে যেতে নিবন্ধনের সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামীকাল রোববার। তবে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি মিলে নিবন্ধন করেছেন ৫৫ হাজার ৬৫২ জন হজযাত্রী। অথচ কোটা অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে পারবেন এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। অর্থাৎ এখন পর্যন্ত কোটা খালি আছে ৭১ হাজার ৫৪৫টি।
এবার হজযাত্রী এত কম হওয়ায় হজ কোটা পূরণ করতে বিমানভাড়া কমিয়ে আনতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন আরও ২৭ হাজার ৮২০ টাকা কমিয়ে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা বিমানভাড়া নির্ধারণ করতে আধা-সরকারিপত্র (ডিও) দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফকে।
পত্রে খালিদ হোসেন বলেন, বিমানভাড়া কমানো হলে বাংলাদেশের হজ কোটা পূরণ সহজ হবে। সৌদি সরকারের কাছে দেশের সম্মান বৃদ্ধি পাবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসও বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হবে।
এ বিষয়ে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, তারা (বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়) এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জবাব দেননি। তারপরও প্রধান উপদেষ্টাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিমানভাড়া না কমালে আমরা প্রয়োজনে থার্ড ক্যারিয়ার ওপেন করে দেব। অর্থাৎ যেকোনো এয়ারলাইনস হজযাত্রী পরিবহন করতে পারবে।
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে তিনটি এয়ারলাইনস হজফ্লাইট পরিচালনা করে। এর একটি রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস’। বাকি দুটি এয়ারলাইনস সৌদি আরবের ‘সৌদিয়া’ ও ‘ফ্লাইনাস’।
গত ৩০ অক্টোবর ২০২৫ সালে হজে যেতে সরকারিভাবে দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার। ঘোষিত সাশ্রয়ী প্যাকেজ অনুযায়ী খরচ ধরা হয়েছে চার লাখ ৭৯ হাজার ২৪২ টাকা। অন্য প্যাকেজে খরচ ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা। এসব প্যাকেজে ২০২৪ সালের চেয়ে বিমানভাড়া অন্তত ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে।
তবে সরকারি প্যাকেজে খাবার টাকা ৪০ হাজার ও কোরবানির জন্য ৭৫০ সৌদি রিয়াল আলাদাভাবে নিতে বলা হয়েছে হজযাত্রীদের। গত বছর খাবার টাকা প্যাকেজে যুক্ত ছিল। সরকারি প্যাকেজের সঙ্গে সমন্বয় করে বেসরকারি এজেন্সি মালিকরাও একাধিক প্যাকেজ ঘোষণা করেন। পাশাপাশি তারা বিমানভাড়া কমানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন।