তালা থানা ওসির অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

জহর হোসেন সাগর  :সাতক্ষীরা তালার ১৯৬ নং জেয়ালা নলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক কলিমউদ্দীন সরদারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে ও তালা থানার ওসি শেখ শাহিনুর রহমানকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকালে তালা ডাকবাংলোর সামনে এলাকাবাসীর আয়োজনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষক কলিম উদ্দীনের স্ত্রী মিছেস ফাতেমা খাতুন, আবু মুছা সরদার, বিলকিস খাতুন,আসমা বেগম প্রমুখ। মানবন্ধনে এলাকার শত শত নারী-পুরুষ অংশগ্রহন করেন।

মানববন্ধনে আবু মুছা সরদার, বিলকিস খাতুন ও আসমা বেগম বলেন,গত ৪ ই ডিসেম্বর সকাল ৯ টা ৪০ মিনিটে প্রতিপক্ষরা আরও তিন শতক জমি জোরপূর্বক জবর দখল করার চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। ওই সময় তার ভাই শিক্ষক কলিম উদ্দীন স্কুল পাঠদানরত অবস্থায় ছিলেন। এই তুচ্ছ ঘটনায় উক্ত শিক্ষকের নাম তদন্ত ছাড়াই মামলা অর্ন্তভুক্ত করেন ওসি শেখ শাহিনুর রহমান।

শিক্ষক কলিম উদ্দীনের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন বলেন,আমার স্বামী তালার ১৯৬ নং জেয়ালানলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। ঘটনার দিন তিনি সকাল ৮ টায় স্কুলে চলে যান। পরে সকাল অনুমান ৯ টা ৪০ মিনিটের সময় তার ভাসুর সেলিম সরদারের জমি প্রতিপক্ষরা দখল করতে আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ সময় আমার স্বামী স্কুলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছিলেন। প্রতিপক্ষরা এখন তার স্বামীর নামে থানায় মামলা করেছে তিনি নাকি ঘটনা স্থলে ছিলো। একই সময় এক ব্যক্তি দুই স্থানে কিভাবে থাকে? তার স্বামীর স্কুল বাড়ি থেকে ১০ কি.মি. দূরে। তার স্বামীর নামে যুব জামায়তের তালা উপজেলার সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রেন্টু থানায় ওসির সাথে রাত ৮ টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত থানায় বসে থেকে তার স্বামীর নামে মিথ্যা মামলা রেকর্ড করায়। আমার স্বামী একজন সরকারি স্কুল শিক্ষক ও ওসি সাহেব একজন সরকারি কর্মকর্তা, তাহলে একজন সরকারি কর্মকর্তা আর একজন সরকারি কর্মচারীর নামে তদন্ত ছাড়া কিভাবে মিথ্যা মামলা রেকর্ড করেন?

সব শেষে তালা থানার ওসি শেখ শাহিনুর রহমানকে তালা থানা থেকে অপসারণ করার জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার ও খুলনা রেজ্ঞ উপ- মহা পুলিশ পরিদর্শকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এবিষয়ে তালা থানার ওসি শাহিনুর রহমান বলেন, যে ঘটনায় মামলা হয়েছে সেটি মামলা হওয়ার মত নয়, ছোট্ট ঘটনা। জমিজমা নিয়ে বিরোধে উভয় পক্ষের দুটি মামলা হয়েছে। স্কুল শিক্ষকের নামও রয়েছে সেখানে। আশ্বস্ত করছি সে ন্যায় বিচার পাবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)