খাজরা ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের অপসারনের দাবীতে মানববন্ধন
জি এম মুজিবুর রহমান:
আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বাচ্চুকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে খাজরা ইউনিয়ন পরিষদের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি আয়োজন করেন ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্যবৃন্দ ও এলাকাবাসী।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, ইউপি সদস্য মোঃ ইয়াকুব আলী, সিমুল হোসেন, রামপদ সানা ও হাসমত এবং ভুক্তভোগি আল আলিম হোসেন। বক্তারা বলেন, খাজরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম শাহনেওয়াজ ডালিম ইউপি চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় চেয়ারম্যান পদশুন্য হয়। নিয়ম তান্ত্রিকভাবে প্যানেল চেয়ারম্যানের উপর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব চলে আসে। প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগের সময় তিনি বিভিন্ন রকম ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে ভিত্তিহীন ভাবে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন সাইফুল ইসলাম বাচ্চু। অন্যান্য ইউপি সদস্যদের আপত্তি থাকা ও ইউপি উপ-নির্বাচনের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৪ নিদিষ্ট হওয়ায় আমরা ইউপি সদস্যবৃন্দ বিকল্প পথ অবলম্বন করি নাই।
পরবর্তীতে ছাত্র আন্দোলনের মুখে নির্বাচন স্থাগিত এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনের মুখে ৫ই আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর দেশের বেশীর ভাগ আওয়ামী নেতার সাথে আওয়ামীলীগের নির্বচিত ইউপি চেয়ারম্যান ও দলে থাকা ইউপি সদস্যবৃন্দ কেউ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় আবার কেউ পলাতক থাকার কারনে সাধারণ জনগনের সেবা পেতে অসুবিধা হয়। বর্তমান সরকার সেটির সমাধান করে জনগনের সেবার কথা চিন্তা করে তাদের দায়িত্ব থেকে অপসারন না করে জনগনের মান উন্নয়ন তাগিদ প্রদান করেন।
বক্তারা আরো বলেন, আমাদের অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বাচ্চু দায়িত্ব পাওয়ার পরে পরিষদ আলোর মুখ দেখতে পারেনি। জনগণ সেবা পাওয়ার বদলে পরিষদে যেয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কে না পেয়ে সাধারণ জনগণকে বারে বারে ফিরে আসতে হয়। তিনি স্থায়ীভাবে সাতক্ষীরাতে অবস্থান করে। গ্রামে থাকা তার চাচা নজরুল ইসলামের উপর এত বড় পরিষদের দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন। তার কাছে সাধারণ জনগণ গেলে টাকার বিনিময়ে তার কাছে থাকা নকল সীল ও স্বাক্ষর প্রদান করেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দায়িত্ব পাওয়ার পর অদ্যাবধি পরিষদের কি ধরনের সেবা মূলক কাজ এসেছে আমরা ইউপি সদস্যরা কেউ জানতে পারিনি। এমন কি আমাদের পরিষদ থেকে আমরা কোনো রকম সম্মানী পাইনি। সরকারী সাহায্য টি সি বি, গর্ভবর্তী ভাতাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার সকল পণ্য সে একাই নাম মাত্র বন্টন করে নিজেই সব কিছু আত্মসাৎ করে সাধারণ জনগনকে তার হাতের জিম্মি করে রেখেছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমাদের ১১ মেম্বারকে সাথে নিয়ে কাজ করেননা। তিনি আয়-ব্যয়ের হিসেব দেননা, আমরা তার কাজে সন্তুষ্ট না, আমরা তার অপসারনের দাবীতে আবেদন করেছি। আমরা পরিষদের সকল ইউপি সদস্যবৃন্দ এর থেকে পরিত্রান পেতে তাকে অপসারণ করে নতুন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিয়োগের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে দৃষ্টি আকর্ষন করছি। দুর্নীতিবাজ, ভিত্তিহীন, ক্ষমতা লোভী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম বাচ্চুকে অপসারণ করে নতুন প্যানেল চেয়ারম্যান/ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিয়োগের দাবি জানান বক্তারা। আলামিন হোসেন বলেন, পরিচয় পত্র আনতে গেলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমাকে তার চাচার কাছে পাঠায়। চাচার কাছে গেলে আইডি কার্ড চায় এবং নানা অজুহাত তুলে টাকা দাবী করেন বলেন তিনি দাবী করে তিনি তার অপসারনের আবেদন করেন