যশোরে প্রবাসীকে ফ্লাট দেওয়ার নামে ৬৫লক্ষ টাকা আত্মসাৎ স্ত্রীকে আটকে রেখে মুক্তিপনের চেষ্টা
এস কে কামরুল হাসান: যশোরের আব্দুল করিম নামে এক সৌদি প্রবাসীর ফ্লাট কেনার নামে৬৫ লক্ষটাকা আত্মসাৎতের অভিযোগ উঠেছে এক প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে। একটি সাথে প্রবাসীর অসুস্থ স্ত্রীকে কিডনি প্রতিস্থাপনের নামে ১৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে তাকে আটকে রেখে পুনঃরায় মুক্তিপন আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।উপায় না পেয়ে আদালতের দারস্থ হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন,রাজধানীর বাড্ডা এলাকার নুর মোহাম্মদ মজুমদারের ছেলে মোঃ তানভির হাসাম রাকিব (২৮), নুর মোহাম্মাদের স্ত্রী মনুর জাহান (৫৫) মেয়ে মোছাঃ নারগিছ (৩৫),বাড্ডা বালুর চর এলাকার মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মোঃ ইছাহাক সরকার (৫০)টুটুল সরকার (৪২) ও মির পুর এলাকার মোঃ আলাউদ্দীন রয়েল (৩০)। ভুক্তভুগী যশোর জেলার। কোতায়ালী থানার চুড়ামন কাটি এলাকার আশরাফ হোসেনের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ চাকুরির সুবাদে সৌদি আরবে ছিলেন বলে জানা গেছে।মামলা সুত্রে জানা যায়, সৌদি থাকা কালীন অভিযুক্তেদের সাথে পরিচয় হয় প্রবাসী আব্দুল করিমের ।এরপর তিনি দেশে আসার পর ঘটনার নয় মাস আগে ও পরিবারের এক মেয়ের সাথে বিয়ে করেন। বিয়ের পর অভিযুক্তরা পরস্পর আত্মীয় হওয়ার সুবাদে পাতে প্রতারনার ফাঁদ। এরপর প্রথম দফায় রাজধানীতে ফ্লাট কেনার নামে নগদ ৬৫,০০,০০০/- (পঁয়ষটি লক্ষ) টাকা হাতিয়ে নেয়।পরে তার স্ত্রী হজ্জ পালন করে আসার পরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওই সময় তাকে কিডনি প্রতিস্থাপনের নামে ১৫,০০,০০০/- (পনের লক্ষ) টাকা হাতিয়ে নে ওই প্রতারক চক্র । এরপর থেকে তার স্ত্রীকে আটকে রেখে পুনঃরায় মুক্তিপন দাবী করছেন প্রতরক চক্র বলে অভিযোগ তার।ভুক্তভোগী আব্দুল করিম বলেন, সৌদি থাকার কালিন পরিচয় হয় মামলার আসামীদের সাথে । পর তিনি তার তিনি দেশে এসে তাদের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে ওই পরিবারের মেয়েকে বিয়ে করেন। এরপর থেকে তারা বিভিন্ন কৈশালে তারা টাকা হাতিয়ে নিতে থাকে। বর্তমানে তার অসুস্থ স্ত্রীকে আটকে রেখে তারা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। এর মধ্যে দুই দফায় খুইয়েছেন ৮০লক্ষ টাকা। এছাড়া বর্তমানে একটি সুত্র থেকে মোটাঅংকের অর্থদাবী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।এদিকে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ২০২৫সালের ১৯ জানুয়ারি আসামী সহ ভিক্টিমদের আদালতের হাজির হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে।বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্তদের সাথে কথা বলার জন্য একাধিক বার যোগাযোগ করলে তাদের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য তাদের নেওয়া সম্ভব হয়নি।