আশাশুনি ইউসিসিএর দূর্ণীতি ও জালিয়াতির প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন
আশাশুনি প্রতিনিধি ঃ আশাশুনিতে ইউসিসিএ লিঃ এর সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান ও এআরডিও মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্ণীতি ও স্বাক্ষর জালিয়াতির সুবিচার দাবী করে ব্যবস্থপনা কমিটি থেকে পদত্যাগকারী ৫ সদস্য সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বুধবার বিকালে আশাশুনি প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যবস্থপনা কমিটি থেকে পদত্যাগকারী মনিষ কুমার মন্ডল, সিদ্ধার্থ কুমার গাইন, ইয়াছিন আলী, কামরুল ইসলাম ও আব্দুল মালেক গাজী লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিগত ১৩/১২/২০২২ তাং ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে তারা সদস্য পদে নির্বাচিত হন এবং ১৯ তারিখে কমিটির প্রথম সভা থেকে তারা সবাই যোগদান করে এসেছেন। আগামী ২০২৫ সালের ১২ডিসেম্বর কমিটির মেয়াদ শেষ হবে। শুরু থেকে সভাপতি বিভিন্ন ভাবে অনিয়ম, দুর্ণীত ও স্বেচ্ছাচারিতার সাথে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে এআরডিও মোস্তাফিজুর রহমানকে সাথে নিয়ে তার অন্যায়ের দৌরাত্ম্য বাড়িয়ে দেন। ৪নং ব্লকের সদস্য আব্দুল মান্নান মৃত্যু বরণ করলে শুণ্য পদে ৩০দিনের মধ্যে মনোনীত কোন সদস্যকে মিটিং এর সিদ্ধান্ত মতে কো-অপট করতে হয়। কিন্তু বিগত ৬মাসেও তা করা হয়নি। গত ০৪ জুন বিল্লাল হোসেনকে কমিটির কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই বাড়ী থেকে ডেকে এনে রেজুরেশন খাতায় স্বাক্ষর করিয়ে নেন। যা নিয়ম বহির্ভূত হয়েছে। আমরা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জানতে পারলাম নির্বাচনের ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিতে ৪জন সরকারী কর্মকর্তা কো-অপট করার কথা থাকলেও বিগত ২বছরে কোন মিটিংয়ে অফিসারবৃন্দ আসেননি। সমবায় আইন দ্বারা ইউসিসিএ লিঃ পরিচালিত হয়ে থাকলেও সমবায় অফিসার বা তার মনোনীত কোন প্রতিনিধি কোন দিনই মিটিংয়ে উপস্থিত হননি। নির্বাচিত কমিটির অর্ধেকাংশ অর্থাৎ ৪জন এবং সরকার কতৃর্ক মনোনীত সদস্যের অনুন্য ৫০শতাংশ অর্থাৎ ২জন সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম পূর্ণ হবে মর্মে নিয়ম থাকলেও গত দুই বছরে তা মানা হয়নি। সুতারাং এই কমিটির কার্যক্রম আমাদের কাছে জবাবদিহিতা মূলক মনে হয়নি। এসমস্ত অবৈধ সিদ্ধান্তের বিষয়ে আমরা বাঁধা সৃষ্টি করলে সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান কোন তোয়াক্কা করেননি। বরং স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নিয়ে ইচ্ছেমত চলে এসেছেন। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে গত ৭নভেম্বর’২৪ সদস্য পদ থেকে আমরা ৫জন স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করি। পদত্যাগ করার পর থেকে সভাপতি আমাদেরকে বিভিন্ন ভয়ভীতি, হুমকি ধামকি ও মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে আসছেন। এমনকি নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখার স্বার্থে আমাদের স্বাক্ষর জাল করে ব্লক নং ভূল করে কম্পিউটারে লেখা তারিখ কেটে কলম দিয়ে কাটাকাটি করে ভূয়া পদত্যাগ প্রত্যাহার পত্র গত ১২ নভেম্বর যুগ্ম নিবদ্ধকের দপ্তরে প্রেরণ করেছে। সংবাদ সম্মেলনে ভূয়া স্বাক্ষর জাল সৃষ্টিকারী কুচক্রী মহলের প্রতি তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে পূর্বের পদত্যাগ পত্রের উপর অনড় থেকে স্বাক্ষর জালিয়াতির সুবিচার প্রার্থনা করেন তারা এবং এই অবৈধ কমিটির উপর অনাস্থা ঘোষণা করেন ৫জন পদত্যাগকারী সদস্য। সমবায় আইন ভঙ্গকারী, সরকারী ট্রেজারী ফাঁকি, ভূয়া নিবন্ধন সৃষ্টিকারী উক্ত অবৈধ কমিটি বাতিল পূর্বক অত্র প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কার্যক্রম সচল রাখা এবং ঋণের কার্যক্রমের ধারা গতিশীল করতে একটি অন্তর্বর্তী কমিটি গঠনের দাবী জানান সংবাদ সম্মেলনকারীবৃন্দ।