মৎস্য ঘেরে মাদক বেচাকেনা নিষেধ করায় একই পরিবারের পাঁচজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম
ইব্রাহিম খলিল:মৎস্য ঘেরে মাদক বেচাকেনা নিষেধ করায় সাতক্ষীরা সদরের ধুলিহর নাথপাড়ায় একই পরিবারের উপর দু’দফা হামলা চালিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে পাঁচজনকে মারাত্মক আহত করেছে মাদকব্যাবসায়িরা। বর্তমানে তারা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে মুমুর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে। এ ঘটনায় উক্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।সাতক্ষীরা সদর থানার ধুলিহর নাথপাড়া এলাকার আলমগীর হোসেনের স্ত্রী মাজেদা খাতুন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, আমাদের বাড়ির পাশে একটি মৎস্য ঘের আছে। উক্ত মৎস্য ঘেরে ধুলিহর নাথপাড়া গ্রামের আলী হোসেনের মোকলেছুর ইসলাম, মফেজ ঢালীর ছেলে আলী হোসেন, মোকলেছুরের স্ত্রী সাইমা খাতুন,আলী হোসেনের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন, হিমচাঁন, হিমচাঁনের স্ত্রী মনিফা খাতুন, আলী হোসেনের ছেলে আজহারুল ইসলাম, মোকলেছুর রহমানের ছেলে সুমন হোসেন আমাদের মৎস্য ঘেরে বসে মাদক কেনাবেচা করে। আমরা প্রায় নিষেধ করলে আমাদের মৎস্য ঘের থেকে তাড়িয়ে দেয়। গত ১৪ তারিখে বিকালে আমার স্বামী আলমগীর হোসেন মোকলেছুর ইসলাকে মৎস্য ঘেরে মাদক কেনাবেচা যেন না করে এব্যাপারে নিষেধ করে। এরপর মোকলেছুর ইসলাম বাড়িতে যেয়ে তার ছেলে ভাই পাইপো একলার চিহিৃত মাদক ব্যাবসায়ীদের সাথে নিয়ে লোহার রড চাপাতি রামদা নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমার স্বামী আলমগীর হোসেন, ছেলে মহিদ ইসলাম, বৃদ্ধা মা রাশিদা খাতুন, ছোট ভাই মফিজুল ইসলাম, প্রতিবেশী মো: হাসানকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। এ ঘটনায় থানা পুলিশ করলে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে বলে শাষিয়ে যায়। এরপর ১৫ নবেম্বর তারিখে সকালে তারা আবার একত্রিত হয়ে পুনরায় আবার হামলা করে মফিজুল ইসলামের মাথায় কোপ মারে এবং মহিদকে বাম হাতে কোপ মারে হাড়কাট জখম করে। এর মধ্যে বৃদ্ধা রাশিদা খাতুন আলমগীর হোসেন মফিজুল ইসলাম এবং মহিদের আবস্থায় আশংখাাজনক। তাদেরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভুগি অসহায় পরিবারটি পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।