দিনদিন বাংলাদেশে ফিলিপাইনের উন্নত জাতের আখ চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে
মোঃ রাহাত রাজাঃদিনদিন বাংলাদেশে ফিলিপাইনের উন্নত জাতের আখ চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ফিলিপাইন জাতের উচ্চ ফলনশীল জাতের আখ এখন কৃষকদের আকৃষ্ট করছে। এই নতুন জাতের লাল,কালো আখ, কৃষকদের জন্য লাভজনক হওয়ার কারন খোসা পাতলা রসালো মিষ্টি এই আখ যে কোন বয়সী মানুষের খুবই পচ্ছন্দের। সাধারণত শীতের সময় এই আখের বীজ রোপনের উপযুক্ত সময়। এক হাত পরপর এই আখের বীজ রোপন করা হয়। এছাড়া মাসে এক বার ছত্রাক নাশক ও কীটনাশক স্প্রে করা ও আখের পাতা ভেঙ্গে দেয়া ছাড়া তমন কোন কঠিন পরিশ্রম নেই এই আখ চাষে।বাজারে অন্য আখের তুলনায় দাম ভালো থাকায় ক্ষেত থেকে বিক্রি হয়ে যায় এই আখ।রাজশাহী, ফরিদপুর ও সাতক্ষীরার কৃষকরা ইতিমধ্যে এই জাতের আখ চাষ করে সফল হয়েছেন। তারা বলেন ৩৩ শতাংশে সারা বছরে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ করে দুই লাখ টাকা বিক্রি করা সম্ভব এই আখ। উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় এবং বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় কৃষকদের আয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে আখ চাষে।প্রচলিত জাতের তুলনায় এই আখ ২০% বেশি উৎপাদন হয়ে থাকে। এছাড়া মাত্র ৮ থেকে ৯ মাসে বাজারজাত সম্ভব হয়। যেখানে প্রচলিত জাতের জন্য ১৪-১৬ মাস সময় লাগে।রোগবালাইয়ের ঝুঁকি কম থাকায় কৃষকদের জন্য এটি ঝুঁকিমুক্ত বলা যায়।ফিলিপাইনের আখ বাংলাদেশের কৃষি খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে। উচ্চ ফলনশীলতা ও লাভজনকতা এই জাতকে কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে। সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এটি বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।