স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হলে যেসব রোগের ঝুঁকি বাড়ে
স্বাস্থ্য ডেস্ক:
দাম্পত্য জীবনে প্রতিটি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কখনো কখনো ঝগড়া হয়ই। আর দাম্পত্য জীবনে ঝগড়া সম্পর্ককে করে তোলে আরো শক্ত ও মজবুত। তবে অতিরিক্ত এবং নিয়মিত ঝগড়া হয়ে দাঁড়াতে পারে বিপদের কারণ।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ায় যেমন কমে যেতে পারে আয়ু তেমনি হতে পারে হৃদরোগও। একটি বিষাক্ত সম্পর্কে থাকার কারণে নারী-পুরুষ উভয়েরই শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে।
চলুন জেনে নিই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হলে যেসব রোগের ঝুঁকি বাড়ে সে সম্পর্কে-
কমে যেতে পারে আয়ু: দীর্ঘমেয়াদী দাম্পত্যে অশান্তি কমিয়ে দিতে পারে আয়ু। জীবনে সুখী থাকলে যেমন রোগব্যাধি কম হয় তেমনি দাম্পত্যে অশান্তি থাকলে কমতে পারে আয়ুও। মানসিক চাপ মানুষের জীবনধারা পরিবর্তন করে দেয়। ফলে অস্বাস্থ্যকর খাওয়া, মাদকাসক্ত, কম ঘুম, মানসিক চাপ ইত্যাদি শারীরিক বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। সামাজিক চাপের সম্মুখীন ব্যক্তিদের মধ্যে বয়স বাড়তেই স্ট্রেসসম্পর্কিত রোগ ও প্রদাহের ঝুঁকি বেশি। যা অকাল মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
বাড়তে পারে ওজন: যারা দাম্পত্য কলহের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তাদের মধ্যে ওজন বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। আর এর ফলে এমন ব্যক্তিদের মধ্যে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মতো স্থূলতা-সম্পর্কিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। গবেষকরা ১১ বছর ধরে ৮০০০ মানুষের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে এই তথ্য জানান।
হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া তথা বিষাক্ত সম্পর্কের কারণে হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে। মানসিক চাপ রক্তচাপ বাড়ায় যা অনেক গবেষণায় দেখা গেছে। দীর্ঘদিন এই সমস্যায় ভুগলে তা হৃদরোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া মানসিক চাপের কারণে ঘুমের সমস্যা, ক্লান্তি, পেট খারাপও হতে পারে।
বিষণ্ণতা বাড়ে: দাম্পত্যজীবন ভালো না থাকলে যে কারো বাড়বে বিষণ্ণতার ঝুঁকি। গবেষণায় দেখা গেছে, সামাজিকভাবে কোনো মানুষ প্রত্যাখ্যাত হলে মেজর ডিপ্রেসিভ ডিসঅর্ডারের (এমডিডি) ঝুঁকি বেড়ে যায়। দাম্পত্যে অশান্তি কিংবা বিচ্ছেদের কারণেও মানসিক এই সমস্যায় ভুগতে পারেন যে কেউ।