সাকিবের বোলিং অ্যাকশরে খবরটি ভুয়া
স্পোর্টস ডেস্ক:
দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত একটি খবরে রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে ফেলে। কাউন্টিতে খেলার সময় সাকিব আল হাসানের বোলিং অ্যাকশন নাকি হয়েছে প্রশ্নবিদ্ধ। দ্রুতই একটি ল্যাবে অ্যাকশনের পরীক্ষা দেবেন।
সময় যত গড়িয়েছে, খবরটি ততই ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই বিষয়টি নিয়ে পোস্টো দিতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত জানা গেল, খবরটা একেবারেই ভুয়া ও বানোয়াট।
বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাকিবের বোলিং নিয়ে কোন প্রশ্ন ওঠা, তাকে রিপোর্টেড করার খবর বোর্ডের কাছে নেই। আইসিসি থেকে কিংবা সাকিবের কাউন্টি ক্লাব সারেও তা বিসিবিকে এ ব্যাপারে কিছুই জানায়নি।
বিসিবি পরিচালক ও আম্পায়ার্স কমিটির প্রধান ইফতিখার রহমান দেশের একটি অনলাইন গণমাধ্যমকে জানান, বোর্ডের কোনো কর্মকর্তা এমন খবর শোনেননি। বিসিবিকে কোনো মাধ্যম থেকে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার খবর পাঠানো হয়নি।
ভারত সফরের আগে গত সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডে কাউন্টি খেলতে যান মি. অলরাউন্ডার। সারের হয়ে একটি ম্যাচ খেলে সমারসেটের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করেন।
বিসিবির সিনিয়র মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম ঐ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সাকিবের বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার কোনো খবর আমি বা আমরা জানি না। সাধারণত কোনো বোলারের বোলিং অ্যাকশন সন্দেহ হলে সেটা রিপোর্ট করেন আম্পায়াররা। ওই ক্রিকেটার যে ম্যাচে অংশ নিয়েছেন, সেই ম্যাচের আম্পায়াররা বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ হলে প্রথমে রিপোর্ট করেন।’
‘তখন সেই ক্রিকেটার যে দলের হয়ে অংশ নিয়েছেন, সেই ক্লাব, দল কিংবা জাতীয় দল- যেই হউক না হোক না কেন, সেখানে সবার আগে খবর দেয়। একইভাবে সে খবর আইসিসির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বোর্ডেও চলে আসে। সাকিবের ক্ষেত্রে এসব কিছুই হয়নি।’
খবর বেরিয়েছিল, কাউন্টি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এই ম্যাচকে ঘিরে তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সাবেক টাইগার অধিনায়ক দ্রুতই একটি ল্যাবে অ্যাকশনের পরীক্ষা দেবেন। বিষয়টি শুধুমাত্র কাউন্টিতে খেলার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ উঠলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বা অন্যান্য ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে তার কোনো বাধা নেই। বিষয়টির সঙ্গে আফগানিস্তান সিরিজে সাকিবের না খেলার যোগসূত্র নেই।
এ বিষয়ে রাবিদের ভাষ্য, ‘আর সবচেয়ে বড় কথা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইংলিশ কাউন্টি খেলতে গিয়ে বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সাকিবের। সেটা সেপ্টেম্বরের প্রথম অংশের খবর। তার দুই সপ্তাহ পরতো সাকিব ভারতের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে দুটি টেস্টও খেলেছে। রিপোর্টেড হলেতো আর ওই টেস্ট দুটি খেলা সম্ভব হতো না। কাজেই এ ধরনের সংবাদের কোনো ভিত্তি নেই।’