পাইকগাছায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় ৭ ইউনিয়নের মানুষ
শাহরিয়ার কবিরঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় দানা’র প্রভাবে সুন্দরবন উপকূলীয় খুলনার পাইকগাছায় বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ভোর রাত থেকেই শুরু হয়েছে থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত। আর বৃষ্টির সাথে মাঝে মাঝে বইছে দমকা হাওয়া। যদিও উপকূলের নদ-নদী গুলোতে স্বাভাবিকের তুলনায় জোয়ারের পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে অতিরিক্ত জোয়ারের পানির চাপে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্ব স্ব এলাকার বাসিন্দারা। বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে উপজেলার দেলুটি, গড়ইখালী, লস্কর, রাড়ুলী, লতা, গদাইপুর, সোলাদানাসহ ৭ ইউনিয়নের বাসিন্দারা আতঙ্কিত রয়েছেন।তবে ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবেলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্যানুযায়ী ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ ইউনিয়ন গুলোর বাসিন্দাদের জন্য ১০৮টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খুলনা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ জানান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর ঝড়ের মূল পথ উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গের দিকে হওয়ায় খুলনায় তেমন আতঙ্কের কোন কারণ নেই। তবুও সুন্দরবন উপকূলীয় খুলনাঞ্চলে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি হতে পারে।