ব্র্যাকের দুধের গাড়ি পুকুরে ডিজেল মবিলের গন্ধে মরে ভেসে গেছে মাছ – ক্ষতি তিন লক্ষ টাকা
Post Views:
২০৭
তালা প্রতিনিধি :সাতক্ষীরা তালার উত্তর নলতা গ্রামের হুমায়ুন কবিরের পুকুরে ব্র্যাকের দুধের গাড়ি পড়ে গাড়ীর ডিজেল, গিয়ার অয়েল ও মবিল পানিতে মিশে পুকুরের পানি দুষিত হয়ে মাছ মরে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩০০,০০০/- (তিন লক্ষ টাকা)। এঘটনায় ভুক্তভোগী হুমায়ূন কবির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাছে ক্ষতি পূরণ ও ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, আমি হুমায়ুন কবির, মূলত একজন মাছ চাষী। বিভিন্ন জলাকার এবং পুকুরে মাছ চাষ করাই আমার পেশা। খলিলনগর ইউনিয়ানাধীন উত্তর নলতা গ্রামের নলতা নতুন বাজার সংলগ্ন আমার নিজস্ব যায়গায় পুকুর (৪০ শতাংশ) সেখানে আমি মাছ চাষ করি। সেখানে আমি বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ ছেড়েছিলাম যা এখন বিক্রয়ের জন্য উপযুক্ত হয়ে আছে। আমার পুকুরের পাশ দিয়ে তালা হতে খলিলনগর অভিমুখী পাকা রাস্তা রয়েছে। যে রাস্তা দিয়ে বিগত ৪ দিন পূর্বে ব্র্যাক ডেইরী ফার্মের একটা দুধ রপ্তানীর কোম্পানীর গাড়ী যাওয়ার সময় পাল্টি খেয়ে আমার পুকুরে মধ্যে পড়ে যার নং-ঢাকা মেট্রো-শ- ১১-০৩০৩, তার পর প্রায় ৮ ঘন্টা যাবৎ ঐ গাড়ী আমার পুকুরে নিমজ্জিত থাকে। এই দীর্ঘ সময় গাড়ি পানিতে থাকার ফলে গাড়ীর ডিজেল, গিয়ার অয়েল ও মবিল আমার পুকুরের পানিতে মিশে আমার পুকুরের পানি দুষিত হয়ে আমার অনেক মাছ মরে যায় যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩০০,০০০/- (তিন লক্ষ টাকা) তখন স্থানীয় গণ্যমান্য এবং গাড়ী কর্তৃপক্ষের মধ্যস্ততায় গাড়ীটি সাময়িকভাবে ছেড়ে দেওয়া হয় এই শর্তে যে তার পরদিন সকালে সবাই একত্রিত হয়ে আমার মাছ মরে যাওয়ার ক্ষতিপূরণ দিবে মধ্যস্ততার মধ্যে ছিলেন বিবাদী ব্র্যাক কোম্পানীর অফিসার মোঃ হারুন-অর-রশীদ, এরিয়া ম্যানেজার ব্র্যাক ডেইরী, চুকনগর অফিস, অথচ তার পর থেকে কোমম্পানীর কেও আর আমার সাথে যোগাযোগ করেনা, এমনকি তাদের অফিসারও আমার মোবাইল রিসিভ করেনা। এমতাবস্থায় আমার ক্ষতি পূরণ পাইবার জন্য আপনার স্বরনাপন্ন হয়েছি।স্থানীয় ইকলাস হোসেন ও খলিলুর রহমান জানান, ব্র্যাকের ডেইরী ফার্মের একটি দুধের গাড়ি পুকুরে পড়ে, উদ্ধার করতে লাগে প্রায় ৮ ঘন্টা। ডিজেল ও মবিল পড়ার কারণে পুকুরের পানি পঁচে সকল মাছ মরে গেছে। অসহায় হয়ে গেছে মাছ চাষী হুমায়ুন কবির। ব্র্যাকের লোকজন গাড়ি উদ্ধার করে নিয়ে গেলেও পথে বসতে হচ্ছে ক্ষুদ্র মাছচাষীকে। আমরা চাই অতি দ্রুতই ব্র্যাকের লোকজন মাছের ক্ষতি পূরণ দিক।এদিকে ব্র্যাকের ডেইরি চিলিং সেন্টারে কথা বললে তারা বলেন, বিষয়টি অবগত, আমরা অফিসে আলোচনা করেছি, অতি দ্রুতই মাছ চাষির ক্ষতি পূরণ দেওয়া হবে। ক্ষতি পূরণ দিতে দেরি হওয়ার কারণ ও মাছ চাষির সাথে কথা না বলার কারণ জানতে চাইলে বিষয়টি সুকৌশলে এড়িয়ে যান।