নানা রোগের প্রতিষেধক আমলকি
স্বাস্হ্য ও চিকিৎসা ডেস্ক:
ত্বক, চুলের যত্নে আমলকির জুড়ি মেলা ভার। এটি এখন সারা বছরই বাজারে পাওয়া যায়। প্রাচীন চিকিৎসাশাস্ত্র মতে, কফ, বাত, পিত্ত— এই ৩ প্রধান রোগের চিকিৎসায় বিশেষ কাজে লাগে আমলকি। এটি একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও বটে।
আর এখন অনেক চিকিৎসক আমলকি রোজের খাবারে অন্তর্ভুক্ত করতে পরামর্শ দিচ্ছেন। কেউ সকালে খালি পেটে আমলকির রস খান কেউ আবার কাঁচা আমলকি। অনেকেই আবার ভাতের পাতে আমলকি সেদ্ধ করে খান। এই ফল নিয়মিত খাওয়া কেন এত জরুরি।
আমলকির পুষ্টিগুণ
ফল ও পাতা ২টিই ওষুধরূপে ব্যবহার করা হয়। আমলকিতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকীতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে ৩ গুণ ও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। আমলকীতে কমলার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।
উপকারিতা
১. এটি আপনার ত্বক এবং চুলের জন্য ভালো। আমলকি রক্ত বিশুদ্ধ করে এবং ত্বকে পুষ্টি জোগায়। এ ছাড়াও এতে জরারোধক পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে।
২. ওজন কমাতে সাহায্য করে আমলকি। শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ বের করে দিতে আমলকি হতে পারে অন্যতম প্রধান অবলম্বন।
৩. দৃষ্টিশক্তি এবং হজমশক্তিও উন্নত করে আমলকি। সারা বছর ধরে অনেকেই হজমের সমস্যায় ভোগেন। আমলকি অন্ত্রের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি করে।
৪. এতে পলিফেনল এবং ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে। এই ২ উপাদান প্রদাহবিরোধী প্রভাব কোষগুলোকে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে যা ক্ষতিকর রোগ এবং সংক্রমণের কারণে হতে পারে।
৫. আমলকি মধুমেহ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি ক্রোমিয়াম সমৃদ্ধ, যা আমাদের শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বজায় রাখে।
৬. আমলকির ক্ষারীয় প্রকৃতি পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার এবং শক্তিশালী করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে। হাইপার অ্যাসিডিটি নিরাময় করতে এবং পেটের আলসার প্রতিরোধ করতেও আমলকি ব্যবহার করা যেতে পারে।
৭। এতে রয়েছে ক্যারোটিন, যা দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে সহায়ক। আপনার প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় আমলকি থাকলে তা চোখের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্য ভাবে উন্নতি করতে পারে। এছাড়াও ছানি, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় হঠাৎ উত্তেজনার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। চোখ লাল হওয়া, চুলকানি এবং পানি পড়া রোধেও আমলকি বিশেষ উপকারী।