ডাক পেল না জাতীয় পার্টি

ডেস্ক রিপোর্ট: সংস্কারপ্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে আজ শনিবার কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই দফায় গণফোরাম, এলডিপি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দল, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, লেবার পার্টি ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) আলোচনার ডক পেয়েছে। তবে ডাক পায়নি জাতীয় পার্টি। সরকারের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতৃত্বের পক্ষ থেকে দলটির ব্যাপারে আপত্তির কারণে তাদের আজকের সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
যদিও জাতীয় পার্টির নেতারা এবারের সংলাপে আমন্ত্রণ পাওয়ার অপেক্ষায় থাকার কথা বলে আসছিলেন। এ নিয়ে জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, সরকার হয়তো জাতীয় পার্টির মতামত নেয়া প্রয়োজন মনে করছে না, সে কারণে আমাদের সংলাপে ডাকেনি। এ নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।এর আগে বিএনপিসহ পাঁচটি দল ও তিনটি জোটের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ হয়েছে ৫ অক্টোবর। মাঝে পূজার ছুটির কারণে সব দলের সঙ্গে আলোচনা শেষ হয়নি। আজ বাকি দল ও জোটগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা। এখন সরকার তৃতীয় দফায় এই সংলাপ করছে।ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার শাসনের পতনের পর গত ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংলাপ হয়। সেই সংলাপে জাতীয় পার্টিকে ডাকা হয়। তবে এ দফায় এখনো দলটিকে আলোচনায় ডাকা হয়নি।সরকারি সূত্রগুলো বলছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সহযোগী বা দোসর ছিল জাপা। সে কারণে জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতৃত্বের পক্ষ থেকে দলটির ব্যাপারে আপত্তি আসে। সেটি বিবেচনায় নিয়েছে সরকার।শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের শাসনে মিত্র বা সহযোগী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল জাতীয় পার্টি। দলটির নেতারা কখনো মন্ত্রিত্ব নিয়ে সরকারের অংশীদার হয়েছেন। কখনো সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসে ‘গৃহপালিত’ উপাধিও পেয়েছিল জাপা।সর্বশেষ গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনেও অংশ নিয়ে দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসেছিল দলটি। গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরশাসনের পতনের পর জাতীয় পার্টির অতীত নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে। এখন প্রধান উপদেষ্টার সংলাপে ডাক পাওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির সেই অতীত বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে আওয়ামী লীগের শাসনে সহযোগিতা করার অভিযোগ অস্বীকার করে বক্তব্য দিচ্ছেন জাপা নেতারা। দলটির নেতারা বলছেন, তারা আওয়ামী লীগের দোসর ছিলেন না। তাদের দলের একটি অংশকে আওয়ামী লীগের পুরো শাসন আমলেই সুযোগ-সুবিধা দিয়ে হাতে রাখা হয়েছিল। যখনই জাপা সরকারের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করত, তখনই ঐ অংশকে ব্যবহার করে দল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা হতো।জাপার মহাসচিব বলেন, দলকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে বাধ্য হয়ে তাদের যে ভূমিকা নিতে হয়েছিল, সে ব্যাপারে তারা ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)