ঝাউডাঙ্গা পল্লি বিদ্যুৎ অফিসে দুর্নীতির অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা পল্লি বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে সাধারণ মানুষকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। বিশেষ করে সেচ ও মৎস্য প্রকল্পের জন্য বিদ্যুতের খুঁটি বসানো এবং মিটার নেওয়ার ক্ষেত্রে রেজাউল সরদারের নিকট থেকেও মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়েছেন। পল্লি বিদ্যুৎ অফিসের কিছু অসাধু কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে নি¤œ ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর স্বপ্ন চুরমার হয়ে যাচ্ছে। প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সাথে যোগসাজশ করে দুর্নীতি চক্র সক্রিয় থাকায় সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। সাতক্ষীরা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম এবং বর্তমান সভাপতি রহিমা খাতুনসহ একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, বিদ্যুৎ অফিসের দালাল ইমরান নিজেকে প্রভাবশালী হিসেবে উপস্থাপন করে ঘুষের বিনিময়ে কাজ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি ইতোমধ্যেই কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। এক বাসিন্দা বলেন, “ইমরান সাহেব তুড়ি মেরে সব কাজ করতে পারেন বলে দাবি করেন।” রুদ্রপুর গ্রামের মো. সোহাগ হোসেন জানান, “আমাদের এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি এমনভাবে বসানো হয়েছে যে, তারগুলো নিচু হয়ে ঘর্ষণের ফলে প্রায়ই আগুনের ফুলকি পড়ে, এতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং আমরা বিপদে পড়ি।” তিনি আরও জানান, তার কাছ থেকে দুইটি ট্রান্সমিটার স্থাপনের জন্য ৮৬ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, ঝাউডাঙ্গা বিদ্যুৎ অফিসের মো. আবু বক্কার সিদ্দিক, আবু তাহের সরদার, এবং জাকির হোসেনের মতো সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়া হয়েছে। একইভাবে, গোবিন্দকাটি গ্রামের রেজাউল সরদারও বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন। ভুক্তভোগীরা দ্রæত এই দুর্নীতি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।