হারের রেকর্ডে ম্যাচ শেষ করেই লাঞ্চে গেলেন শান্তরা
স্পোর্টস ডেস্ক:
চেন্নাই টেস্টের চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনের এক ঘণ্টায় কোনো উইকেট হায়ারনি বাংলাদেশ। এরপর দ্রুত ছয় ব্যাটারকে হারিয়ে সফরকারীরা ২৮০ রানের শোচনীয় ব্যবধানে হেরেছে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নিজেদের দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৩৭৬ ও ২৮৭/৪ ডি. করে টিম ইন্ডিয়া। প্রথম ইনিংসে ১৪৯ রানে অল আউট হয় সফরকারীরা।
শনিবার বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ১৫৮ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা আরম্ভ করার পর ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে লাঞ্চ বিরতির আগেই ২৩৪ রানেই গুটিয়ে যায়। এক পর্যায়ে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ১৯৪ রান। সেখান থেকে শুরু হওয়া ব্যাটিং ধসে মাত্র ৪০ রান যোগ করতেই তারা শেষ ৬ উইকেট হারায়।
ব্যক্তিগত ১৭ রানে জীবন পেয়েছিলেন সাকিব। স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার বলে ছিল বাড়তি বাউন্স। এগিয়ে এসে শট নিতে ব্যর্থ হন টাইগার অলরাউন্ডার। হাস্যকর ভুলে বল গ্লাভসবন্দী করতে পারেননি রিশভ পান্ট।
তাতেও অবশ্য মি. অলরাউন্ডার ইনিংস বড় করতে পারেননি। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বল রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে গিয়ে তার ব্যাটে বল লাগার পর প্যাডে আঘাত হানে। এরপর তা ব্যাকওয়ার্ড শর্ট লেগে থাকা যশস্বী জয়সওয়ালের হাতে চলে যায়। থেমে যায় সাকিবের ২৫ রানের ইনিংস। সাজঘরে ফেরার আগে তিনি নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ৪৮ রানের জুটি গড়েন। এরপর রবীন্দ্র জাদেজার বলে প্রথম স্লিপে রোহিত শর্মার হাতে ধরা পড়ে মাত্র এক রান করে বিদায় নেন লিটন দাস।
সেঞ্চুরির কাছাকাছি থাকা নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গ দিয়ে দলের স্কোর বাড়ানোর কাজটা ক্রিজে টিকে থাকার মানসিকতা নিয়েই মেহেদী হাসান মিরাজের জন্য সঠিক ছিল। দ্রুত দুই উইকেট পড়ে যাওয়ার পর অহেতুক উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে ৮ রান করা মিরাজ রবীন্দ্র জাদেজার হাতে ধরা পড়েন।
তাকে দ্রুত অনুসরণ করেন শান্ত। বাংলাদেশের অধিনায়ক ১২৭ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ৮২ রানের ইনিংস খেলে জাদেজার বলে এক্সট্রা কভারে জাসপ্রিত বুমরাহর ক্যাচে পরিণত হন। এরপর তাসকিন ও হাসান মাহমুদের বিদায়ে নিশ্চিত হয় সফরকারীদের পরাজয়।
ভারতের হয়ে ৮৮ রান খরচায় ৬ উইকেট পান প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি পাওয়া ম্যাচসেরা অশ্বিন। তিন উইকেট নেন জাদেজা।