জাবি ও ঢাবিতে দুই জনকে পিটিয়ে হত্যা
অনলাইন ডেস্ক:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মারধরের ফলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে মারধরের ফলে একজনের মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এসব ঘটনায় অনতিবিলম্বে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার মাঝরাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদারের পাঠানে এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
এসব ঘটনা দুঃখজনক এবং মানবাধিকারের মৌলিক নীতিগুলির প্রতি সম্পূর্ণ অবজ্ঞা প্রদর্শন করে, বলে উল্লেখ করা হয়।
এতে আরো বলা হয়, গত ১৫ বছর ধরে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের যে নজির দেখা গেছে, তা আমাদের সমাজের বিচার ব্যবস্থা ও আইনের শাসনের গুরুতর অভাবকে প্রতিফলিত করে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান জরুরি ছিল এবং নতুন বাংলাদেশে আইন ও মানবাধিকারের শাসন প্রতিষ্ঠা আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং বাংলাদেশের ছাত্র জনতার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে, এসব বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন এবং মব জাস্টিসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা উচিত।
এর আগে গতকাল বুধবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। পরে রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে বেধড়ক পিটুনি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মারধরের এক পর্যায়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। নিহত ঐ ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানা যায়নি।