শারীরিক দুর্বলতা এড়াতে পানিফল
স্বাস্থ্য ডেস্ক:
মূলত বাংলা ভাদ্র মাস থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত চাষিরা পানিফলের আবাদ করেন। বেচাকেনা চলে অগ্রহায়ণ থেকে পৌষ মাস পর্যন্ত। শীতকাল আসছে, সে কথা জানান দেয় পানিফল। চিকিৎসকরা বলেন, যে কোনো মৌসুমি ফলই শরীরের জন্য উপকারী। ঠিক একইভাবে উপকারী পানিফল নামের কাঁটা যুক্ত বিশ্রী দেখতে এই ছোট ফলটিও। খাদ্য ও পুষ্টিগুণে এটি মহৌষধি।
জলাশয়ে চাষ হয় বলে একে পানিফল বলা হয়। পানিফলের আরেকটি নাম পানি শিঙাড়া। কারণ শিঙাড়ার মতো দেখতে। তা ছাড়াও এর নানা জায়গায় নানা নাম রয়েছে। ওয়াটার কালট্রপ, বাফেলো নাট, ডেভিল পড ইত্যাদি। আবার ইংরেজিতে একে ওয়াটার চেস্টনাটও বলা হয়। এরও একটি বৈজ্ঞানিক নাম – ট্রাপা নাটানস। যাই হোক, এর নামের বাহার যেমন। কাজের বহরও তেমন। অর্থাৎ কি না, এর উপকারিতা। এটি স্বাদে পানসে ও দামে সস্তা। তা হলেও পানিফলের রয়েছে প্রচুর উপকারিতা। কাঁচা এবং সিদ্ধ, দুইভাবে খাওয়া যায়।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, পানিফল ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন বি-১২, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে এ ফলের। চলুন জেনে নেয়া যাক পানি ফলের উপকারিতা সম্পর্কে-
১. ত্বকের যত্নে: ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে ও সতেজ এবং তারুণ্য ধরে রাখতেও পানিফল অনবদ্য।
২. দুর্বলতা এড়াতে: দুর্বল শরীরকে সবল করতে এর জুড়ি মেলা ভার।
৩. অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপে: অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ এর চাবিকাঠি রয়েছে এই ফলের মধ্যে লুকিয়ে।
৪. যকৃতের প্রদাহে: এটি যকৃতের প্রদাহনাশক অর্থাৎ লিভারের ইনফ্লামেশন নিরাময় করে।
৫. পোকার দংশনে: বিষাক্ত পোকা-মাকড়ের দংশনের জ্বালা থেকে মুক্তি পেতে তত্ক্ষণাত্ পানি ফল বেটে ওই জায়গার ওপর প্রলেপ দিলে তাড়াতাড়ি যন্ত্রণা মুক্তি হয়।
৬. রোগ প্রতিরোধক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: কাঁচা পানিফলে প্রায় তিন ভাগ পানি থাকে। প্রচুর রোগ প্রতিরোধক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান নিয়ে গঠিত এই সুস্বাদু ফল।
৭. ওজন নিয়ন্ত্রণে: ওজন বেড়ে যাচ্ছে? পানিফল খান ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
৮. হৃদরোগের প্রতিরোধে: প্রচুর পটাশিয়াম থাকে বলে হৃদরোগের প্রতিরোধ করে।
৯. ক্যানসার প্রতিরোধে: অক্সিডেটিভ চাপ এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ কারী হিসেবেও কাজে আসে পানিফল।
১০. যৌন দুর্বলতায়: যৌন দুর্বলতা কাটাতে পানিফলের প্রশংসা না করে পারা যায় না।