ছাত্র আন্দোলন দমাতে রিয়াজের স্ক্রিনশট ফাঁস
বিনোদন ডেস্ক:বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য আসছে। আন্দোলনে তারকাদের মধ্যে অনেকে ছিলেন শিক্ষার্থীদের পক্ষে-বিপক্ষে। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সমর্থিত শোবিজ তারকাদের ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের স্ক্রিনশট ফাঁসে উত্তাল নেটদুনিয়া।ঐ গ্রুপে আন্দোলন চলাকালীন নানা বিষয় নিয়ে কথোপকথন চলতো। গ্রুপে যুক্ত ছিলেন- চিত্রনায়ক রিয়াজ, শামীমা তুষ্টি, তানভীন সুইটি, সোহানা সাবা, অরুণা বিশ্বাস, অভিনেতা সাজু খাদেমসহ অনেকে। গ্রুপটির নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ও সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ।গত ২ আগস্ট রাত ১টা ৩০ মিনিটে ‘আলো আসবেই’ নামক শোবিজ অঙ্গনের আওয়ামীপন্থী শিল্পী ও সাংবাদিকদের নিয়ে খোলা গোপন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আন্দোলন দমিয়ে রাখতে ৮টি পরামর্শ দেন রিয়াজ।
তিনি লিখেন, ‘প্রিয় বন্ধুগণ, সালাম ও কৃতজ্ঞতা। আপনাদের আজকের পারফরম্যান্স ও গ্রুপের কথা পড়ে শোকের মাসে জানাই অভিনন্দন। সেই সঙ্গে কিছু কথা- ১. আমি বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধুকন্যার হাত ধরে আলো আসবেই।
২. সময়টা আমাদের প্রতিকূলে।
৩. আমাদের যুদ্ধটা দীর্ঘ হবে এবার, তাই শক্তি ও মনোবল ধরে রাখতে হবে।
৪. এই সময়ে কাউকে আঘাত করে কিছু বলা যাবে না।
৫. যেকোনো মূল্যে এ আন্দোলন দ্রুত থামাতে হবে।
৬. সোশ্যাল মিডিয়ায় একে অন্যকে সাপোর্ট দিতে হবে।
৭. একজনের যেকোনো বিপদে সবাইকে একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
৮. সবাই মিলে এক আত্মা এক প্রাণ হতে হবে। তাহলেই আমরা এই তুফান পাড়ি দিতে পারব। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন, জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।
এরপরও থেমে থাকেননি এই অভিনেতা। ৩ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রিয়াজ লেখেন, বিএনপি-জামায়াত আর রাজাকার পুত্ররা আহ্বান জানাচ্ছে, দেশ বাঁচাতে এগিয়ে আসতে। কোন দেশ সেটা আর বুঝতে বাকি নেই। তাদের বাবারাও ৭১ সালে দেশ বাঁচানোর ডাক দিয়েছিল। তবে সেটা বাংলাদেশ না, পাকিস্তান। আজ ৭১ মুছে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে ২৪ দিয়ে। আগস্ট মুছে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে জুলাই দিয়ে, গুজব ছড়িয়ে রায়েরবাজার বধ্যভূমিকে ৭১-এর বদলে ২৪-এর বধ্যভূমি বানানোর চেষ্টা চলছে।রিয়াজ আরো লেখেন, সরকারবিরোধী সব অপশক্তি যেখানে নানাভাবে সক্রিয় তখনো অনেকেই এটাকে শুধুমাত্র নিরপেক্ষ ছাত্র আন্দোলন ভাবতেই পারে, সেটা তাদের স্বাধীনতা। কিন্তু আন্দোলন প্যাটার্ন এবং ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে ছাত্রদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে জাতীয় পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরাতন শকুনেরা।