সাতক্ষীরার সাবেক এস পি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির, কাজী মনিরুজ্জামানসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নিজস্ব প্রতিনিধি : ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় বিএনপি কর্মীর বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির, এস এস পি কাজী মনিরুজ্জামানসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা আমলী ১নং আদালতে ভুক্তভোগী আহসান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার ও সদ্য বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়া পুলিশ কর্মকর্তা চৌধুরি মঞ্জুরুল কবির, সাবেক এ এস সি(সদর সার্কেল) কাজী মনিরুজ্জামান, সদর থানার তৎকালিন অফিসার ইনচার্জ এনামুল হক, ইন্দ্রিরা গ্রামের মৃত কালাচান সরদারের পুত্র হবিবর রহমান, কুচপুকুর গ্রামের নেছার আলীর পুত্র রফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলামের পুত্র রনি আহম্মেদ, রফিকুল ইসলামের পুত্র সোহাগ, কওসার আলীর পুত্র শাহীন, নবাব আলীর পুত্র হামজার আলী, ভবানীপুর গ্রামের মৃত সাত্তারের পুত্র শামসুর রহমান, তেতুলতলা গ্রামের মৃত রজব আলীর পুত্র ওবায়দুর রহমান মানি, ভবানীপুর গ্রামের ওয়াজেদ আলীর পুত্র ফারুক হোসেন, গদাঘাটা গ্রামের আনিছুর রহমানের পুত্র শাহ আলম, শিয়ালডাঙ্গা গ্রামের নবো কুমারের পুত্র রিন্টা মজুমদার, খানপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের পুত্র ইব্রাহিম খলিল, সোনারডাঙ্গা গ্রামের মৃত আ: বারীর পুত্র আমানুল্লাহ, ঘরচালা গ্রামের রওশন মোড়লের পুত্র জাহারুল মোড়ল, আইয়ুব মোড়লের পুত্র মনিরুল মোড়ল, নেবাখালী গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর পুত্র শাহাদত মোড়ল, আলাউদ্দিনের পুত্র ডালিম, মৃত আব্দুল মজিদের পুত্র মাসুম বিল্লাহ।মামলার বিবরনে জানা গেছে, ২০১৩ সালে বালিয়াঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের পুত্র বিএনপি কর্মী আহসানের কাছে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন তৎকালিন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির। আহসান চাঁদা না দেওয়ায় মঞ্জুরুল কবিরের নির্দেশে তৎকালিন এ এস পি কাজী মনিরুজ্জামানসহ অন্যান্য আসামীরা তার বাড়িতে হামলা করে। আহসানের বাড়িতে থাকা ১৯ ভরি স্বর্ণ, নগদ ৮লক্ষ ৫০ হাজার টাকা লুটপাট করে। এছাড়া বাড়িতে থাকার টিভি, ল্যাপটপসহ মূল্যবান আসবাবপত্র ভাংচুর করে ক্ষতিসাধন করে। আনুমানিক ৩ঘন্টা ধরে আহসানের বাড়িতে মধ্যযুগীয় বর্বরতা চালায়। এতে বাধা দেওয়ার চেস্টা করলে তার স্ত্রী সন্তানকে মারপিট করে গুরুতর আহত করে। এর প্রতিকার চাইতে গেলে উল্টো আহসান কে মিথ্যা মামলায় কারাগারে প্রেরণ করে। সে সময় উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় মামলা করতে পারেনি বলে জানান ভুক্তভোগী আহসান। তবে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় আদালতে এ মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান তিনি।