সম্পত্তি ফেরত না দিয়ে অগ্নি সংযোগের মিথ্যা নাটক সাজিয়ে হয়রানির অভিযোগ জেলা সৈনিকলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম খান বাবুর
নিজস্ব প্রতিনিধি : আদালতের নির্দেশে সম্পত্তি ফেরত না দিয়ে অগ্নি সংযোগের মিথ্যা নাটক সাজিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে জেলা সৈনিকলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম খান বাবুর বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে পুলিশ ফাঁড়িসহ বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগও দায়ের করেছেন হত্যা মামলার আসামী সৈনিকলীগ নেতা বাবু খান।
জানা গেছে, পলাশপোল মৌজায় ৯৪ জে এল এস এ ১২২৫২ দাগে হাল ১৮০৩১ দাগে ৫শতক সম্পত্তির মালিক শহরের মুনজিতপুর এলাকার প্রয়াত আব্দুল গফুরসহ ৮জন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সুলতানপুর বড়বাজার (মাছ বাজার ব্রীজ সংলগ্ন) এর ব্যবসায়ী ও জেলা সৈনিকলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম খান বাবু অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিল। এনিয়ে ভুক্তভোগী, আব্দুল গফুর, আব্দুল আজিজ সরদার, সাবুদ আলী সরদার, নূরুল আমিনসহ ৮ জন বাংলাদেশ সরকারকে বিবাদী করে যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালত সাতক্ষীরায় একটি মামলা দায়ের করে। যার নং দেং ৩৪/২০০০। উক্ত মামলায় বিজ্ঞ আদালত ৪ মার্চ ২০১৯ তারিখে বাদীর পক্ষে রায় প্রদান করেন। রায়ে উল্লেখ করা হয় “অত্র দেওয়ামী মোকদ্দমা ১-৪/৫ নং বিবাদীগনের বিরুদ্ধে দো-তরফা সূত্রে এবং অন্যান্য বিবাদীদেও বিরুদ্ধে একতরফা সূত্রে বিনা খরচায় ডিক্রি প্রদান করা হয়। সেমতে নালিশী ভ‚মিতে বাদীপক্ষের স্বত্ব ঘোষিত হল”।
কিন্তু শরিফুল ইসলাম খান বাবু আওয়ামীলীগ সরকারের প্রভাব খাটিয়ে আদালতের রায় কে অমান্য করে উক্ত সম্পত্তি ভোগ দখল করতে থাকে। এরআগে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন পদে থেকে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে অন্যের সম্পত্তি দখল করে আসছেন তিনি।
এদিকে ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা আওয়ামীলীগের নেতাদের অফিস ভাংচুর করে। কোন কোন স্থানে আওয়ামীলীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাদের অফিসেও আগুন লাগিয়ে দেয়। শরিফুল ইসলাম খান বাবু জেলা সৈনিকলীগের সভাপতি হওয়ায় সুলতানপুর বড় বাজারে অবস্থিত তার বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের অফিসে আগুন দেয় উত্তেজিত জনতা। সুচতুর বাবু খান ওই বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে আদালতের রায় কে উপেক্ষা করে ওই সম্পত্তি দখলে রাখার পায়তারা চালাচ্ছেন। অথচ ভুক্তভোগীরা ৩১ আগস্ট আদালতের রায় নিয়ে তাদের প্রাপ্য সম্পত্তিতে গিয়ে সাইনবোর্ড তুলে দেন। এসময় বাবু খানের ভাই রফিকুল ইসলাম ছোট বাবু ও তার ম্যানেজার আবুল কাশেমসহ কর্মচারীরা ভুক্তভোগীদের উপর চড়াও হয়। সে সময় বড় বাজার মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সেক্রেটারী আব্দুল আলিম ও আমিনুর হাজী সেখানে উপস্থিত হন। তৎক্ষনিক সেখানে বসাবসি করে আগামী শুক্রবার ৬ সেপ্টেম্বর উভয় পক্ষসহ সকলকে নিয়ে মিমাংসার জন্য বসাবসির সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান ভুক্তভোগীরা। কিন্তু এরপর বাবু খানের ম্যানেজার পুরাতন সাতক্ষীরা ফাঁড়িতে একটি মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের করেছে এবং ৫ আগস্টের ঘটনাকে ভিন্নভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে ৬ আগস্ট নাকি তার অফিসে অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে। অথচ রাজনৈতিক পরিবর্তণ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে ৫ আগস্ট বিকালে। ভাংচুরের সাথে ভুক্তভোগী সম্পত্তির মালিকদের কোন সম্পৃক্ততা নেই।
এবিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ন্যায় বিচারের দাবিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।