জনরোষের মুখে নুসরাত

বিনোদন ডেস্ক:কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে কর্তব্যরত এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ভারতের বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এ ঘটনায় সরব ছিলেন টলিউড তারকারাও। পথে নেমে এ ঘটনার বিচার চেয়েছেন স্বস্তিকা, শ্রীলেখা, মিমিরা। তবে শহরে থাকলেও এ ঘটনা নিয়ে সেভাবে সরব হতে দেখা যায়নি নুসরাত জাহানকে।
অবশ্য সামাজিক মাধ্যম এবং পাবলিক প্ল্যাটফর্মে নিজের মতামত দিয়েছেন সাবেক এ তৃণমূল সংসদ সদস্য। তবে তা খানিকটা দায়সারা গোছের। নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে ইনস্টাগ্রামে প্রশ্ন তুলেই দায় সেরেছেন অভিনেত্রী।এর মাঝেই কী এমন করলেন নায়িকা, যাতে তার ওপর ক্ষেপেছেন অনুরাগীরাও!আজকাল অভিনয় থেকে কিছুটা দূরে নুসরাত। তাকে শেষবার দেখা গেছে ‘সেন্টিমেন্টাল’ সিনেমায়, নতুন কোনো সিনেমা হাতে নেই তার। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে বেজায় সক্রিয় যশ ঘরণী।আরজি করের নির্মম-নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরেও যশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভিডিও ইনস্টায় শেয়ার করে ব্যাপক ট্রোলড হয়েছিলেন নুসরাত। কিন্তু তাতেও শিক্ষা হলো না অভিনেত্রীর।ইনস্টাগ্রাম ফিডে নতুন কিছু পোস্ট না করলেও স্টোরিতে পূজার শুটের ঝলক তুলে ধরলেন। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।নুসরাতের শেয়ার করা সেই ছবিতে দেখা গেছে আলপনা আঁকতে ব্যস্ত তিনি। পরনে সাবেকি পোশাক। কিন্তু রাজ্যের এমন পরিস্থিতিতে পূজার গন্ধ যেন মন মাতাচ্ছে না বাঙালির। বরং সবার একটাই দাবি, ‘মেয়েটা বিচার পাক।এর আগে গত ১৩ আগস্ট ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে ব্যাপক ট্রোলড হয়েছিলেন নুসরাত। ওই পোস্টের মন্তব্যে একজন লেখেন, এই মেয়েটা আলাদা লেবেলের ক্লাউন। অপর একজন লেখেন, কোনো মানবিকতাই নেই, এ নাকি আবার মা? কেউ কেউ তো ধর্ষণের হুমকি দিতেও ছাড়েননি।এভাবে ট্রোলড হয়ে অবশেষে ঘুম ভাঙে নুসরাতের। স্বাধীনতার আগের দিন তিনি আরজি কর নিয়ে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে লেখেন, ‘মহিলারা কি আদৌ নিরাপদ? বেশি রাত পর্যন্ত কাজ করার অর্থই কি এ ধরনের হিংসাকে আহ্বান জানানো? সত্যিই কি আমরা স্বাধীন? ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস আমাদের সামনে। আর এর মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে গেল কলকাতা আর ‘সিটি অফ জয়’ রইল না।তিনি আরো লেখেন, একজন কর্মনিষ্ঠ ডাক্তার রাতে নিজের কর্তব্য পালন করছিলেন, তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ মর্মান্তিক ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে আমাদের দেখিয়ে দেয় যে, কলকাতা নিরাপত্তা হারাচ্ছে। এটা আমাদের ভাবনার অতীত, এ খবরে তার পরিবারের অবস্থা কী ছিল? ন্যায় বিচারের এই লড়াইতে আমি আছি। কর্তৃপক্ষ, ক্ষমতাবানদের কাছে আমার অনুরোধ দ্রুত পদক্ষেপ করা হোক। আমি এমন নিষ্ঠুর কাজের তীব্র নিন্দা জানাই।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)