সাতক্ষীরায় গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ
বিশেষ প্রতিনিধি: নিজদের জমির ওল গাছ দেখতে যাওয়ায় মেম্বরের সামনে এক গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করে জখম করেছে মাদক ব্যবসায়ী ও তার সহযোগীরা। বর্তমানে মারাত্মক জখম অবস্তায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আছেন ওই গৃহবধু।শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে সাতক্ষীরার সদর উপজেলার ভাদড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। আহত গৃহবধূ রাজিয়া খাতুন সাতানী গ্রামের কবিরুল ইসলামের স্ত্রী।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রিজিয়া খাতুন বলেন, সকাল ১০ টার দিকে ভাদড়া বাজারখোলা এলাকায় জমিতে লাগানো ওল দেখতে গেলে ভাদড়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আজারুল ও তার সহযোগীরা আমাকে ব্যাপক মারপিট করে। বিষয়টি জানতে পেরে ভাদড়া ওয়ার্ডের মেম্বর মনজুরুল আলম ঘটনাস্থলে আসলে মেম্বরের সামনে আমাকে গাছে বেঁধে মারপিট শুরু করে আজারুল ও তার সহযোগীরা। তবে ওই সময় মেম্বর মনজুরুল আলম তাদের কোন বাধা প্রদান করেননি। এক পর্যায়ে আমার শরীর দিয়ে রক্ত ঝরা শুরু করলে মেম্বর মনজুরুল আলম আমাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে পরিষদে নিয়ে আটকে রাখে। ওই ঘটনা জানতে পেরে আমাদের সাতানী ওয়ার্ডের মেম্বর আজিজার রহমান মাকা পরিষদে এসে এম্বুলেন্সে করে আমাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
নাম না জানানোর শর্তে স্থানীয় এক দোকানদার জানান, আজারুল আমাদের এলাকার একজন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। প্রশাসনের ভয়ে সে একাধিকবার বাড়ি থেকে পালিয়ে বিভিন্ন জায়গায় থেকেছে। তার নামে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। সে যতবারই বিপদে পড়েছে স্থানীয় মেম্বর তাকে বাঁচিয়েছে। আজারুল সবসময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর আজারুল আরো বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। অনতিবিলম্বে তাকে থামানো না গেলে সে আরো অনেক মানুষের উপর নির্যাতন করবে বলে আমরা ধারণা করছি।
কুশখালী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বর আজিজার রহমান মাকা বলেন, ওই গৃহবধু অনেক নিরীহ। তাকে আজারুল ও তার সহযোগীরা মারপিট করে। এরপর তাকে পরিষদে আটকে রাখার খবর পেয়ে সেখানে যায় এবং মুমূর্ষু অবস্থায় এম্বুলেন্সে করে ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে পাঠাই।
বিষয়টি নিয়ে ইউপি মেম্বর মজ্ঞুরুল আলমের সাথে কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, তাকে পরিষদে রাখা হয়েছিল নিরাপর্তার জন্য।
Please follow and like us: