বড়দল বাজারে খাজনা না দিতে ষড়যন্ত্র নস্যাৎ, খাস কালেকশান শুরু
জি এম মুজিবুর রহমান ঃ আশাশুনি উপজেলার প্রাচীন মোকাম বড়দল বাজারে খাজনা না দিতে ঢ্যান্ডা পিটিয়ে প্রচার করে ষড়যন্ত্রকারীরা। ইউএনও ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর দিক নির্দেশনায় স্থানীয় বিএনপি নেতা আজহারুল ইসলাম মন্টুর সার্বিক সহযোগিতায় ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে বড়দল ইউনিয়ন ভূমি অফিস খাস কালেকশান করেছে। ঘটনা ঘটেছে রবিবার (১১ আগস্ট) সকালে উপজেলার বড়দল বাজারে উপজেলার প্রচীন বৃহত্তর মোকাম বড়দল বাজারে প্রতি রবিবার বিশাল পাইকারী ও খুচরা ক্রয় বিক্রয় হয়ে থাকে। বাজারটি সরকারি নির্দেশনা ও ব্যবস্থাপনায় খাস কালেকশান হয়ে থাকে। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতায় খাস কালেকশান করে আসছেন ইউনিয়ন ভূমি অফিস। কালেকশানকৃত টাকা যথারীতি উপজেলা ভূমি অফিস ও উপজেলা নির্বাহী অফিসের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা হয়ে থাকে। গতকাল রবিবার সকালে বাজার বসলে ষড়যন্ত্রকারী চক্র সরকারি কোষাগারে আয়কে বঞ্চিত করতে বেআইনী ভাবে জনৈক কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে খাজনা আদায় করা হবেনা, কেউ খাজনা দিবেননা মর্মে ঘোষণা দিয়ে ঢ্যান্ডা পিটিয়ে মিথ্যা প্রচার চালায়। ব্যবসায়ীরা ঘোষণা শুনে খাজনা না দিতে প্রস্তুতি নিতে থাকেন। খবর পেয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আজহারুল ইসলাম মন্টু ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে বিষয়টি জানার চেষ্টা করেন। ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আবু বক্কর ছিদ্দিক বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায় ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহোদয়ের সাথে কথা বলেন এবং আশাশুনিতে দায়িত্ব প্রাপ্ত সেনাবাহিনীর মেজর মারুফ সাহেবের সাথে কথা বললে খাজনা আদায় না করা সংক্রান্ত ঘোষণাটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে প্রমানিত হয়। তখন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বিএনপি নেতা মন্টুকে সাথে নিয়ে উর্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা মোতাবেক খাস কালেকশান শুরু করেন। ব্যবসায়ীরা স্বতঃস্ফুর্তভাবে খাজনা পরিশোধ করেন। বিএনপি নেতা মন্টু সকল ব্যবসায়ীকে শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে সকলের পাশে থাকার আশ্বাস প্রদান করে সকলকে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার আহবান জানান।