সাতক্ষীরায় পুলিশের উপর হামলা মামলায় ৭ আসামীকে রিমান্ড শেষে আদালতে, ৬ আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে

রঘুনাথ খাঁ:

বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে পুলিশের উপর হামলা ও সরকারী কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশের দায়েরকৃত মামলায় সাত আসামীকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে বৃহষ্পতিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একইভাবে ৬ আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহষ্পতিবার বিকেলে জেলা কারাগার থেকে সদর থানায় আনা হয়েছে।

রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা গ্রামের কবীর হোসেনের চেলে ইমরান হোসেন,একই গ্রামের কাজী কামরুল হাসানের ছেলে কাজী সাকিব হাসান, সদর উপজেলার কাটিয়ার কামরুজ্জামানের চেলে শাহরুখজ্জামান, আশাশুনি উপজেলার চাকলা গ্রামের নুরুল ইসলাম ঢালীর ছেলে মঈনুল ইসলাম, দেবহাটা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে ইব্রাহীম হোসেন একই উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের মোঃ সাঈদুল ইসলামের ছেলে ফাহিম ও একই গ্রামের নূরুনবীর ছেলে জাহিদ হোসেন।
জেলা কারাগার থেকে বৃহষ্পতিবার রিমান্ড নিয়ে আসা আসামীরা হলেন,

সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছার রফিকুল ইসলামের ছেলে তাসিন ফারহান নিলয়, পলাশপোলের অহিদুল ইসলামের ছেলে মাহি রহমান, মাহমুদপুরের মতিয়ার রহমানের ছেলে রাকিবুল ইসলাম, মধুমোল্লারডাঙির শেখে শেখ সাইফুল ইসলামের ছেলে নাফিজুল ইসলাম, দেবহাটা উপজেলার দেবী শহরের আফছার আলীর চেলে আসাদুল্লাহ ও একই উপজেলার হাদিপুরের আব্দুল কাদের এর ছেলে অলিউর রহমান।

মামলা ও ঘটনার বিবরনে জানা যায়, সাতক্ষীরায় বৈষম্য বিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আন্দোলনকারীরা গত ১৭ জুলাই সাতক্ষীরা সদর থানা ঘেরার করার সময় পুলিশের উপর হামলা চালায়। এতে দুই সহকারি উপপরিদর্শক ও এক সিপাহি জখম হন। এঘটনায় সদর থানার উপপরিদর্শক ব্রজ কিশোর পাল বাদি হয়ে পরদিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতারকৃত ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ইনটেলিজেন্স) মোল্লা মোঃ আব্দুস সেলিম গত ১৯ জুলাই প্রত্যেককের আদালতে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বিচারক জিয়ারুল ইসলাম সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শাল্ল্যে গ্রামের মুনছুর রহমানের ছেলে আরমান হোসেন আপন, একই গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে কাজী নূর সিয়াম ও একই উপজেলার তালতলা মাগুরা গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে তানভির হোসেন নাবালক হওয়ায় তাদের শিশু আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অপর ১৩ জনকে দুই দিন করে রিমাÐ মঞ্জুর করেন। ৩০ জুলাই দুপুর ১২ টা থেকে আগামি ৩ আগষ্ট দুপুর ১২ টার মধ্য আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ মেষে আদালতে সোপর্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ইনটেলিজেন্স) মোল্লা মোঃ সেলিম জানান,গত মঙ্গলবার দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগার থেকে সাত আসামীকে থানা পুলিশ হেফাজতে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে বৃহষ্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে এই মুহুর্তে বিস্তারিত কিছু বলা যাবে না। একইভাবে বাকী ছয় আসামীকে বৃহষ্পতিবার বিকেলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জেলা কারাগার থেকে থানা পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে আগামি শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।#

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)