সাতক্ষীরায় সরকারী কাজে বাধা ও পুলিশের উপর হামলা মালায় ১২ আসামীর দুই দিন করে রিমান্ড
রঘুনাথ খাঁ: কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে পুলিশের উপর হামলা ও সরকারী কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশের দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতারকৃত ১৬ জনের মধ্যে ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রত্যেককে দুই দিন করে রিমান্ড মনজুর করেছে আদালত। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম জিয়ারুল হক মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোল্ল্যা আব্দুস সেলিমের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন শুনানী শেষে এ আদেশ দেন।রিমান্ড মনজুর হওয়া আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা গ্রামের ইমরান হোসেন,একই গ্রামের কাজী সাকিব হাসান, শহরের ইটাগাছার তাসিন ফারহান নিলয়, পলাশপোলের মাহি রহমান, একই উপজেলার কাটিয়ার শাহরুখুজ্জামান, মাহমুদপুরের রাকিবুল ইসলাম, মধুমোল্লারডাঙির শেখ সাইফুল ইসলাম, উপজেলার চাকলা গ্রামের মঈনুল ইসলাম, দেবহাটা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের ইব্রাহীম হোসেন, জগন্নাথপুর গ্রামের জাহিদ হোসেন, একই গ্রামের ফাহিম হোসেন, দেবী শহরের আসাদুল্লাহ, হাদিপুরের অলিউর রহমান।
মামলার বিবরনে জানা যায়, সাতক্ষীরায় বৈষম্য বিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আন্দোলনকারীরা গত ১৭ জুলাই সাতক্ষীরা সদর থানা ঘেরার করার সময় পুলিশের উপর হামলা চালায়। এতে দুই এএসআই ও এক সিপাহি জখম হন। এঘটনায় সদর৷ থানার উপপরিদর্শক ব্রজ কিশোর পাল বাদি হয়ে পরদিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৬ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা গত ১৯ জুলাই আদালতে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বিচারক চারজন নাবালক হওয়ায় তাদের শিশু আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অপর ১২ জনকে দুই দিন করে মনজুর করেন। ৩০ জুলাই থেকে দুপুর ১২ টা থেকে আগামি পহেলা আগষ্ট দুপুর ১২ টার মধ্য আসামীদের আদালতে সোপর্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রিমাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মেহেদী হাসান।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোল্ল্যা মোঃ সালিম জানান,মঙ্গলবার আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগার থেকে থানায় আনা হবে।